Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Bhangar

বোমার আওয়াজ, অশান্তি ছাড়াই মিটল ভাঙড়ের পঞ্চায়েত উপসমিতি গঠন, ধৃত আইএসএফের এক

গত ৮ জুন পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ওই এলাকায়। ভোটের ফল ঘোষণার দিন নিহত হন কয়েক জন।

Bhangar

ভাঙড়-২ ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপসমিতি গঠন হল নির্বিঘ্নে। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ভাঙড়  শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:১০
Share: Save:

অশান্তির আশঙ্কায় আগে থেকেই ১৪৪ ধারা জারি হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার ভাঙড়-২ ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপসমিতি গঠন হল নির্বিঘ্নে। কোনও অশান্তির খবর মেলেনি। ১০টির মধ্যে ন’টি পঞ্চায়েতে উপসমিতি নিজেদের দখলে রাখল তৃণমূল। বাকি একটি— পোলেরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপসমিতি দখল করল জমি জীবিকা রক্ষা কমিটি। বড় কোনও গন্ডগোলের খবর না-পাওয়া গেলেও অশান্তির চেষ্টার অভিযোগে আইএসএফের এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বস্তুত, গত ৮ জুন পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ওই এলাকায়। ভোটের ফলাফল ঘোষণার দিন রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত হন বেশ কয়েক জন। পঞ্চায়েত ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর সেই ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। তা নিয়ে বিতর্কও হয়। ১৪৪ ধারা জারি আছে, এই কারণ দেখিয়ে দু’বার (গত ১২ জুলাই এবং ১৭ জুলাই) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তার বিরোধিতা করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ। পরে ৩১ জুলাই রাজ্য সরকার উচ্চ আদালতে জানিয়ে দেয়, ভাঙড় থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর পর গত অগস্ট মাসেও ভাঙড়-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের সময় ব্লক দফতর সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। সে বার ১৪৪ ধারা অমান্য করেই ব্লক দফতর থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে কাঁঠালিয়া চৌমাথায় পথসভা করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ভাঙড় থানা কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত হয়েছে।

মঙ্গলবার পঞ্চায়েত উপসমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় ভাঙড়-২ ব্লকে। কাশীপুর থানার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সকাল থেকে উপসমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে কোনও অশান্তির খবর মেলেনি। তবে আইএসএফের এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উপসমিতি গঠনের পর তৃণমূল নেতা হাকিমুল ইসলাম বলেন, ‘‘মানুষ এলাকার উন্নয়ন চাইছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভাঙড়ে আগামিদিনে পঞ্চায়েত পরিষেবা আরও উন্নত হবে।’’ অন্য দিকে, জমি রক্ষা কমিটির নেতা মির্জা হাসানের বক্তব্য, ‘‘এই অঞ্চলের মানুষ তৃণমূলের সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করে আমাদের ভোট দিয়েছে। আমরা আগামিদিনে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bhangar TMC ISF Panchayat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE