— প্রতীকী চিত্র।
নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে মগরাহাটের বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানকে বিবস্ত্র করে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধর। ঘটনায় চাঞ্চল্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে। পুলিশ গিয়ে বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। মগরাহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবারের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মগরাহাট পূর্ব বিধানসভার উড়েল চাঁদপুর। সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধান রাকেশ মণ্ডল এলাকার দাপুটে বিজেপি নেতা হিসাবেই পরিচিত। অভিযোগ, উড়েল চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান রাকেশ শুক্রবার রাতে এলাকারই এক নাবালিকাকে বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। নাবালিকা চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। স্থানীয়দের দাবি, তখনই হাতেনাতে ধরা পড়ে যান রাকেশ। এর পর তাঁকে বিবস্ত্র করে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ঘটনার খবর পেয়ে মগরাহাট থানার পুলিশ বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানকে উদ্ধার করে। আহত অবস্থায় রাকেশকে প্রথমে মগরাহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাকেশকে ডায়মন্ড হারবার গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে মগরাহাট থানায় বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তবে ধর্ষণের অভিযোগ মানতে চায়নি রাকেশের পরিবার। অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, রাতে দলের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে রাকেশকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে মারধর করা হয়। তাদের দাবি, রাজনৈতিক কারণে ধর্ষণের অভিযোগ করা হচ্ছে, আসলে এ সব কিছুই ঘটেনি। পুলিশ জানিয়েছে, বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছে নাবালিকার পরিবার। নাবালিকার মেডিক্যাল টেস্ট করানোর পাশাপাশি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy