Advertisement
E-Paper

ধর্ষণ করে পোঁতা দেহ

প্রায় সাত মাস ধরে খোঁজ মিলছিল না কিশোরীর। থানা-পুলিশ করেও লাভ হয়নি। শেষমেশ গত সপ্তাহে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেরা করে জানা যায়, মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছিল সে-ই। বুধবার মাটি খুড়ে দেহাবশেষ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০০
খোঁজ: কোথায় পোঁতা হয়েছিল দেহ, দেখিয়ে দিচ্ছে বুলেট। নিজস্ব চিত্র

খোঁজ: কোথায় পোঁতা হয়েছিল দেহ, দেখিয়ে দিচ্ছে বুলেট। নিজস্ব চিত্র

প্রায় সাত মাস ধরে খোঁজ মিলছিল না কিশোরীর। থানা-পুলিশ করেও লাভ হয়নি। শেষমেশ গত সপ্তাহে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেরা করে জানা যায়, মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছিল সে-ই। বুধবার মাটি খুড়ে দেহাবশেষ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর বারোর কিশোরী কাকদ্বীপের একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। হস্টেলে থাকত। গত বছর দুর্গাপুজোর সময়ে বাড়িতে আসে। নবমীর দিন ভাইয়ের সঙ্গে মেলায় গিয়েছিল। সেখানে সনাতন সর্দার ওরফে বুলেট নামে পরিচিত এক যুবকের সঙ্গে দেখা হয়। নয়ন বাড়ি ফিরলেও খোঁজ মিলছিল না মেয়েটির।

নভেম্বর মাসে মেয়েটির পরিবার বাসন্তী থানায় এবং চাইল্ড লাইনে অভিযোগ দায়ের করে। ধর্ষণ করে খুন করে দেহ লোপাট করে দেওয়া হয়েছিল বলে সন্দেহ ছিল পরিবারের।

তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তারা জানতে পারে, ভাইয়ের হাতে ২০ টাকার একটা নোট ধরে ফিরে যেতে বলেছিল দিদি। নিজে যায় বুলেটের সঙ্গে। ঘটনার পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছিল বুলেট। তাতে পুলিশের সন্দেহ বাড়ে। বিবাহিত ওই যুবক স্ত্রীর সঙ্গে থাকত না বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সপ্তাহখানেক আগে এলাকায় ফেরে বুলেট। খবর পেয়ে গ্রেফতার করা হয় তাকে। প্রথমে সে ঘটনার কথা মানতে চায়নি। তাকে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। মেলায় ওই মেয়েটির সঙ্গে বুলটকে যারা দেখেছিল, এমন প্রত্যক্ষদর্শীদের মুখোমুখি বসানো হয় যুবককে। এক সময়ে জেরায় ভেঙে পড়ে সে।

তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, জেরায় বুলেট স্বীকার করে, সে-ই মেয়েটিকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছিল। বুধবার তাকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামে যায় পুলিশ। বুলেট ধানখেতের ধারে ডোবার পাশে একটি জায়গাকে চিহ্নিত করে। সেখানেই খোঁড়াখুঁড়ির পরে মেলে দেহাবশেষ। বাসন্তীর বিডিও সৌগত সাহা, এসডিপিও দেবীদয়াল কুণ্ডু, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও ওসি সৌমেন বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে মাটি খোঁড়া হয়। দেহাবশেষ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।

মেয়েটির বাবা বলেন, ‘‘আমার মেয়েকে নির্মম ভাবে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। ওর কঠোর শাস্তি চাই।’’ কিন্তু কেন মেয়েটিকে খুন করল বুলেট? তদন্তকারীদের দাবি, বুলেট স্বীকার করেছে, মেলা থেকে দূরে নিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে সে। অসুস্থ হয়ে পড়ে মেয়েটি। ভয় পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। বাড়িতে জানিয়ে দেবে বলে। অভিযোগ, তখনই তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বুলেট। পুঁতে দেয় ডোবার পাশে নরম পাঁকে। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার রশিদ মুনির খান বলেন, ‘‘পুলিশের জেরায় সে তার দোষ স্বীকার করেছে ধৃত যুবক।’’

Rape Crime Violence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy