Advertisement
E-Paper

মেটেনি সমস্যা, এখনও থমকে সীমান্ত-বাণিজ্য

সোমবারেও মিটল না সমস্যা। তার ফলে বনগাঁ সীমান্তে পেট্রাপোল-বেনাপোলে পণ্য-বোঝাই ট্রাক যাতায়াত বন্ধই রইল। এর ফলে মার খাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত-বাণিজ্য। এক দিকে যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে শুল্ক দফতর, অন্য দিকে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে ব্যবসায়ীদেরও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:২৬
অপেক্ষা: ট্রাকের সারি

অপেক্ষা: ট্রাকের সারি

সোমবারেও মিটল না সমস্যা। তার ফলে বনগাঁ সীমান্তে পেট্রাপোল-বেনাপোলে পণ্য-বোঝাই ট্রাক যাতায়াত বন্ধই রইল। এর ফলে মার খাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত-বাণিজ্য। এক দিকে যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে শুল্ক দফতর, অন্য দিকে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে ব্যবসায়ীদেরও।

এ দিন বেনাপোল বন্দরের অধিকর্তা ও সে দেশের শুল্ক বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল পেট্রাপোলে এসে বণিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন। তার পরেও অচলাবস্থা কাটেনি। মঙ্গলবার ফের দু’দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

ডামাডোল চললেও শনিবার পেঁয়াজ, পান এবং কাঁচা আনাজের ট্রাক বেনাপোলে গিয়েছে। বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাণিজ্য বন্ধ থাকায় পেট্রাপোল বন্দরে ট্রাকের চাপ বাড়ছে। সেন্ট্রাল ওয়্যারহাউজ কর্পোরেশনের গোডাউনে এখন পণ্য এ দেশের প্রায় ১৩০০টি এবং বাংলাদেশ থেকে আসা ২৯৭টি ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। এ ছাড়া, যশোর রোডেও দাঁড়িয়ে রয়েছে বহু ট্রাক। এ দেশ থেকে পণ্য ভর্তি ট্রাক বেনাপোলে গেলে নিয়মমাফিক টাকা দিতে হয়। অভিযোগ, সম্প্রতি ও পারে নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদে এ দেশের ট্রাক মালিক ও পরিবহণ ব্যবসায়ীরা শনিবার সকাল থেকে আন্দোলন শুরু করেন। বন্দর এলাকায় চলছে মিটিং-মিছিল। এ দেশের ট্রাক চালকেরা পণ্য নিয়ে ও পারে যেতে চাইছেন না। তার জেরেই কার্যত থমকে গিয়েছে পণ্য পরিবহণ। ট্রাক মালিক সংগঠন ও পরিবহণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত রাতে ট্রাকের নিরাপত্তা, পণ্য ওঠানো-নামানো, শৌচাগার ব্যবহার ও সার্ভিস ট্যাক্স আদায় করা হয়। অভিযোগ, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এ দেশের ট্রাক চালকদের কাছ ইচ্ছে মতো টাকা আদায় করছে।২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষে পেট্রাপোল থেকে ১৬ হাজার ১১০ কোটি টাকার পণ্য রফতানি হয়েছিল। একটি বণিক সংগঠনের কর্তা বলেন, ‘‘বাণিজ্য বন্ধ থাকায় রাজস্ব আদায় এবং বৈদেশিক মুদ্রার আয় হারাচ্ছে শুল্ক দফতর। বাংলাদেশের বেশি টাকা আদায় সমর্থন করা যায় না। কিন্তু এ ভাবে বাণিজ্য বন্ধ রাখাটাও সমস্যার সমাধান হতে পারে না।’’ বন্দরে সরকারি গোডাউনে একদিন ট্রাক রাখলে ১০ চাকার ট্রাকের জন্য ১২০০ টাকা ‘ডিটেনশন চার্জ’ দিতে হয়। ফলে ব্যবসায়ীদের এখন সেই ওই টাকা দিতে হচ্ছে। সমস্যা মেটাতে ১২ সেপ্টেম্বর পেট্রাপোলে দু’দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, নির্দিষ্ট অঙ্কের বেশি টাকা নেওয়া হবে না। অভিযোগ, তারপরেও বেশি টাকা আদায় বন্ধ হয়নি।— নিজস্ব চিত্র

Benapole Border Business Truck
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy