অবরোধ তুলতে ঘটনাস্থলে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায়, দেগঙ্গা হাট এলাকায়। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়
রক্তদান শিবির তুলে দিতে গিয়ে জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গা হাট এলাকায়, বারাসত-টাকি রোডের পাশে। ওই ঘটনায় এক প্রাক্তন সেনাকর্মী দম্পতি-সহ দু’পক্ষের মোট ছ’জন জখম হয়েছেন। তাঁদের বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই রক্তদান শিবির হওয়ার কথা ছিল শনিবার। যার তোড়জোড় চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। আয়োজক দেগঙ্গা ফুটবল ক্লাব। মাইকে প্রচারও চলছিল লাগাতার। আয়োজকদের দাবি, শুক্রবার সকালে বিডিও স্বয়ং ওই শিবিরের অনুমতি দেন। সেই মতো প্যান্ডেল তৈরির কাজ চলছিল। কিন্তু বিকেলে হঠাৎ দেগঙ্গা থানার পক্ষ থেকে তাঁদের বলা হয়, প্যান্ডেল ভেঙে নিতে হবে। পুলিশের নির্দেশ শুনে ক্ষুব্ধ ক্লাবের সদস্যেরা রাস্তা অবরোধ করেন। দু’ঘণ্টা পরে সেই অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। তাতে তিন জন জখম হন বলে এলাকাবাসীর দাবি।
পুলিশের পাল্টা দাবি, ওই রক্তদান শিবিরের উদ্যোক্তারা তাদের অনুমতি নেননি। তা ছাড়া, উচ্চস্বরে মাইক বাজানোয় এলাকা থেকে অভিযোগও আসছিল। সেই কারণেই শিবির বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযোগ, এ দিন অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় এবং তাদের গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। তিন পুলিশকর্মী জখম হন বলেও দাবি করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, ‘‘পুলিশের সঙ্গে ওই এলাকার বাসিন্দাদের কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।’’
ক্লাবের তরফে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘‘সকালে বিডিও অনুমতি দিলেন, আর বিকেলে পুলিশ বলছে, বন্ধ করো। প্রশাসনের এ কেমন নীতি? পুলিশের অত্যাচার ও অসহযোগিতায় রক্তদান বন্ধ রাখতে হল। এটা লজ্জার!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy