বার্তা: ঝড় এলে কী করণীয়, গ্রামবাসীদের বোঝানো হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
ইচ্ছা ছিল সুন্দরবনের আনাচ-কানাচ ঘুরে দেখার। সঙ্গী তাঁদের মোটরবাইক। এসেছিলেন ইংল্যান্ড থেকে। কিন্তু সব দ্বীপ ঘুরে দেখার সেই ইচ্ছা আর পূর্ণ হল না জনা কুড়ি ব্রিটিশ নাগরিকের। বুলবুল-এর সতর্কতা জারি হতেই শুক্রবার দুপুরে তড়িঘড়ি কলকাতা রওনা দিলেন।
মূলত প্রকৃতি নিয়েই কাজ করেন দলের সদস্যেরা। দলের সদস্য মার্ক পিটার, ডেভিড ক্যামেরুন জানিয়ে গেলেন, সুন্দরবন কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা দেখতেই এসেছিলেন। কিন্তু সেই কাজ শেষ না করেই ফিরে যেতে হচ্ছে।
যেহেতু পর্যটন মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছিল, তাই অনেকে প্রত্যন্ত দ্বীপগুলিতে থেকে যেতে পারেন এমন আশঙ্কা ছিল জেলা প্রশাসনের। বৃহস্পতিবারই তারা জানিয়েছিল, সব পর্যটককেই ফেরত পাঠানো হবে। বুলবুল নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকেই প্রচার শুরু করেছিল। তা জানার পরেই সুন্দরবন পর্যটন বাতিল করে গদখালি থেকে ফিরে যায় বিদেশি পর্যটকের দলটি।
শুক্রবার সকাল ১১ টা নাগাদ দেখা গেল, গদখালি ঘাটে বড় বড় নৌকোয় করে তাঁদের বাইকগুলি ঘাটে আনা হচ্ছে। বাইকগুলি এসে গেলে এক সঙ্গে কলকাতার দিকে রওনা দিলেন তাঁরা। অনেকেই ষাটোর্ধ্ব। যাওয়ার আগে তাঁরা জানালেন, কলকাতায় ব্রিটিশ দূতাবাসে জানিয়ে আমাজ়নের উদ্দেশে রওনা হবেন। কিছু দিন আগে দাবানলের কবলে পড়েছিল ওই বনাঞ্চল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে তারা গদখালি হয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করেন। বাইকে করে এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে ঘোরা যায় না। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সহায় হন স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের সাহায্যে নৌকোয় করে বাইকে নিয়েই ঘোরাফেরা করছিলেন তাঁরা। পিটার জানান, ৬ অক্টোবর বিভিন্ন দেশ ঘুরে দিল্লি পৌঁছন। দিন কয়েক আগে আসেন কলকাতায়। নিজের দেশের দূতাবাসে জানিয়ে দিন চারেক আগে সোজা চলে আসেন সুন্দরবন।
ওই দলের সদস্য মার্ক বুচার বলেন, ‘‘আমরা শুনেছিলাম, বিভিন্ন কারণে সুন্দরবন ধ্বংসের মুখে। পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতেই আমাদের অভিযান।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সুন্দরবনের মানুষের আতিথেয়তা চির দিন আমাদের মনে থাকবে। তাঁরা সরল বিশ্বাসে নিজেদের বাড়িতে আমাদের থাকতে দিয়েছিলেন।’’
এলাকার বাসিন্দারা এ দিন নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে বিদায় জানান ভিনদেশিদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy