Advertisement
E-Paper

চাঁদার জন্য জোরজুলুম নয়, আর্জি ব্যবসায়ীদের

হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরেই শুরু হয়ে যাবে দুর্গাপুজো। কিন্তু এখনও জমেনি পুজোর বাজার। জামা, জুতো-সহ সব ধরনের ব্যবসায়ীরা পুজোয় ব্যবসার জন্য বেশ কিছুদিন আগেই জিনিসপত্র মজুত করেছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:১৩
প্রতিবাদ: ব্যবসায় সমিতির মিছিল। ক্যানিংয়ে। নিজস্ব চিত্র

প্রতিবাদ: ব্যবসায় সমিতির মিছিল। ক্যানিংয়ে। নিজস্ব চিত্র

ব্যবসায় এখন ভাটার টান। বিক্রিবাটা নেই আগের মতো। সংসার চালানো দায় হয়ে পড়ছে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের। এই অবস্থার কথা মাথায় রেখে পুজোর চাঁদা নিয়ে জোরজুলুম না করার আবেদন নিয়ে পথে নামলেন ব্যবসায়ীরা।

রবিবার দুপুরে ক্যানিং বাজার ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে বাজারের প্রায় দু’শোর বেশি ব্যবসায়ীর সঙ্গে নিয়ে মিছিল সংগঠিত হল। পুজোর চাঁদার জন্য যাতে কোনও পুজো উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীদের উপর জোর জুলুম না করেন সেই আবেদন করা হয় ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে। তা ছাড়াও প্লাস্টিক ও থার্মকল বন্ধের জন্য বাজারের ব্যবসায়ীদের সতর্কবার্তা দেওয়া হয় ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে।

হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরেই শুরু হয়ে যাবে দুর্গাপুজো। কিন্তু এখনও জমেনি পুজোর বাজার। জামা, জুতো-সহ সব ধরনের ব্যবসায়ীরা পুজোয় ব্যবসার জন্য বেশ কিছুদিন আগেই জিনিসপত্র মজুত করেছিলেন। কিন্তু বিক্রি সে রকম না হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের। ক্যানিং বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী সুধীর সাহা বলেন, “এ বার পুজোর আগে অন্তত পঞ্চাশ লক্ষ টাকার জামাকাপড় মজুত করেছি। কিন্তু খদ্দেরের দেখা নেই। এতো টাকা লগ্নি করে, কর্মচারী রেখে যদি বাজার না পাই, তা হলে মহাজনের টাকা কী ভাবে শোধ করব?’’ সুধীরের মতো একই বক্তব্য জুতো, ইমিটেশন-সহ অন্য ব্যবসায়ীদের। তাই সকলেই চাইছেন এ বছর অন্তত পুজো কমিটিগুলো যেন ব্যবসায়ী, দোকানদারদের কাছে চাঁদার জন্য চাপ না দেয়।

ক্যানিং বাজারের ব্যবসায়ীরা তাঁদের এই দাবি ব্যবসায়ী সমিতিকে জানালে সমিতিও তা মেনে নেয়। আর সেই কারণেই রবিবার ব্যবসায়ীরা মিছিল করেন ক্যানিং বাজার ও সংলগ্ন এলাকায়। ক্যানিং বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক হরিনারায়ণ খাঁড়া বলেন, “আর্থিক মন্দার কারণে এ বার ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। কোনও দোকানেই সে ভাবে ব্যবসা হচ্ছে না। এখনও পুজোর বাজার জমেনি। পুঁজি লগ্নি করে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন। এর উপর যদি চাঁদার জন্য জোরাজুরি করা হয়, এঁদের বাঁচার পথ থাকবে না। তাই আমরা পুজো কমিটিগুলির কাছে আবেদন রাখছি, ব্যবসায়ীরা যে চাঁদা এ বার নিজে থেকে দেবেন তাই যেন তাঁরা হাসি মুখে নিয়ে নেন।’’

Fundraising Canning Durga Puja 2019 Businessmen
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy