বেচাকেনা: নিজস্ব চিত্র
এখনও প্লাস্টিকের ব্যাগেই চলছে কেনাবেচা। বাজার থেকে শুরু করে ওষুধের দোকান সর্বত্রই প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহৃত হচ্ছে হাবরায়। পুরসভার নির্দেশে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার কথা প্রায় প্রত্যেক জায়গাতেই জ্বলজ্বল করে লেখা। তা সত্ত্বেও বন্ধ হয়নি প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার চলছেই। এ বার অবশ্য কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে করল হাবরা পুরসভা।
প্রথমে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার না করার জন্য ক্রেতা ও বিক্রেতাকে সচেতন করা হচ্ছে। তাতে কাজ না হলে আর্থিক জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছেন পুরপ্রধান নীলিমেশ দাস। প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করতে সম্প্রতি এলাকার ৭৮টি ব্যবসায়ীক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে পুরপ্রধান বৈঠক করেছেন। সেখানে অবশ্য ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা আশ্বাস দিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের সংগঠনের সদস্যদের এ নিয়ে নিষেধ করবেন।
পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে ওই বিষয়ে সাধারণ মানুষ, ক্রেতা-বিক্রেতাকে সচেতন করতে শহর জুড়ে হোডিং, পোস্টার, ব্যানার লাগানো শুরু হয়েছে। শহরে একটা বড় মিছিলও করা হয়েছে। মাইকে প্রচার করা হবে, লিফলেটও বিতরণ করা হবে। শহরে একটি বড় মিছিলও করা হবে।
নীলিমেশবাবু বলেন, ‘‘শহরের সব ক’টি বাজারে পুরসভার পক্ষ থেকে ক্যাম্প করে প্রচার চালানো হবে। এরপরেও যদি কেউ ৫০ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করেন, তা হলে জরিমানা করা হবে।’’
হাবরার পাটপট্টি কালীবাড়ি বাজারের মাছ বিক্রেতা থেকে শুরু করে আনাজ বিক্রেতা— সকলেই ব্যবহার করছেন প্লাস্টিকের ব্যাগ। বারণ শুনছেন না কেন? প্রশ্ন শুনে যেন আকাশ থেকে পড়লেন এক মাছ বিক্রেতা। তাঁর কথায়, ‘‘সব বাজারেই তো পলিব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে। তা ছাড়া, ক্রেতারাও প্লাস্টিকের ব্যাগই চান।’’ শুধু মাছের বাজার নয়, শহরের আনাচ-কানাচেও প্লাস্টিক পড়ে থাকতে দেখা যায়। নিকাশি নালার মুখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই প্লাস্টিক পড়ে থেকে থেকে। শহরের মানুষেও এ নিয়ে সচেতনতার অভাব আছে বলে মনে করেন পুরকর্তারা। এক ব্যক্তিকে মাছ কেনার সময়ে বলতে শোনা গেল, ‘‘এমনিতেই ব্যাগে মাছের রক্ত লেগে যায়। প্লাস্টিকের ব্যাগ না হলে অসুবিধা।’’ দূষণের কথা জিজ্ঞাসা করায় তাঁর উত্তর, ‘‘দূষণ নিয়ে দু’দিন আলোচনা হয়। পরে তা থেমে যায়।’’
দু’দিনেই যাতে নজরদারি থেমে না যায়, সেটাই এ বার চ্যালেঞ্জ পুরসভার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy