Advertisement
E-Paper

জলের সঙ্কট, সমস্যায় ক্যানিংয়ের বাসিন্দারা

গরম পড়তে না পড়তেই তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট তৈরি হয়েছে ক্যানিং মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় তথা সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ফলে সমস্যায় পড়েছেন এখানকার মানুষ। ক্যানিং মহকুমার বিভিন্ন এলাকাতে নেই পানীয় জলের গভীর নলকূপ। বেশ কিছু জায়গায় নলকূপ দেখা গেলেও তা বেশিরভাগই অকেজো। গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে জলস্তর নেমে যাওয়ায় এলাকার নলকূপগুলি থেকে জল উঠছে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ০১:১৮
দীর্ঘ প্রতীক্ষা। —নিজস্ব চিত্র।

দীর্ঘ প্রতীক্ষা। —নিজস্ব চিত্র।

গরম পড়তে না পড়তেই তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট তৈরি হয়েছে ক্যানিং মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় তথা সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ফলে সমস্যায় পড়েছেন এখানকার মানুষ।

ক্যানিং মহকুমার বিভিন্ন এলাকাতে নেই পানীয় জলের গভীর নলকূপ। বেশ কিছু জায়গায় নলকূপ দেখা গেলেও তা বেশিরভাগই অকেজো। গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে জলস্তর নেমে যাওয়ায় এলাকার নলকূপগুলি থেকে জল উঠছে না। সাধারণ মানুষকে দূর থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করে আনতে হচ্ছে। বেশিরভাগ সময়ই অপেক্ষায় থাকতে হয় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সরবরাহ করা পানীয় জলের উপর বলে জানালেন স্থানীয় মানুষ। মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, ‘‘বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সঙ্গে আলোচনা করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য। তা ছাড়া আরও গভীরে নলকূপ বসানো যায় কিনা দেখছি।’’

ক্যানিং মহকুমার ক্যানিং ১ ব্লকের বাহিরবেনা, আমড়াবেড়িয়া, বাহিরসোনা, তালদি, দিঘির পাড়, নিকারিঘাটা, ক্যানিং ২ ব্লকের মৌখালি, বেউলাবাড়ি, মঠেরদিঘি, সাকিরটোকিয়া, চ্যাংদোলা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা আবার বাসন্তী ব্লকের মসজিদবাটি, গদখালি, ঝড়খালি, পাঠানখালি, শিবগঞ্জ, ভরতগড়-সহ অন্যান্য এলাকা তো আছেই পাশাপাশি গোসাবা ব্লকের লাহিড়িপুর, গোসাবাবাজার, হ্যামিলটন আবাদ, ছোটমোল্লাখালি, চণ্ডীপুর-সহ বিভিন্ন এলাকার দু’লক্ষেরও বেশি মানুষ স্থানীয় জলের চরম সঙ্কটের মধ্যে রয়েছেন।

ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা ব্লকের কিছু এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সরবরাহ করা জল সংগ্রহ করার জন্য সাধারণ মানুষকে অনেক রাত পর্যন্ত লাইন দিয়ে অপেক্ষা করতে হয়। তবেই ওই জল পাওয়া যায়। এই সমস্যার কারণে আবার অনেককে পুকুরের জলের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। অধিকাংশ পুকুরের জল তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

রাজ্য সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঘোষণা করেছিলেন প্রতিটি বাড়ি বাড়ি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই জলের সংযোগ আজও মহকুমার কোনও বাড়িতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। মহকুমাশাসকের দফতরে কর্মরত এক কর্মী বলেন, ‘‘এখানে জলের এতটাই সমস্যা যে মহকুমাশাসকের দফতর, ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে পানীয় জল নেই। বাড়ি থেকে খাবার জল বয়ে নিয়ে আসতে হয়।’’ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সহকারী বাস্তুকার অরুণ হালদার বলেন, ‘‘এমনিতে আমাদের জল সরবরাহ ঠিক আছে। গোসাবার কয়েকটি জায়গায় একটু সমস্যা আছে তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই জলের সংযোগ দিয়ে দেওয়া হবে।’’

summer canning drinking water basanti gosaba southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy