E-Paper

ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত জয়ন্তের শাগরেদ

সোমবার রাতে আড়িয়াদহের এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর নাম সঞ্জয় মান্না। মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাহুলের সঙ্গে সঞ্জয়ের ভাগ্নির বিয়ে হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:৫৯
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ফের আড়িয়াদহের ত্রাস জয়ন্ত সিংহের অনুগামীদের ‘দাদাগিরি’! এ বার স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল ‘জায়ান্ট’-এর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ওই ব্যবসায়ীর পাঁজরে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাহুল মালিক এলাকায় জয়ন্তের অনুগামী বলে পরিচিত। তাদের একসঙ্গে ছবিও রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে রাহুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার রাতে আড়িয়াদহের এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর নাম সঞ্জয় মান্না। মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাহুলের সঙ্গে সঞ্জয়ের ভাগ্নির বিয়ে হয়েছে। তা নিয়ে পারিবারিক বিবাদ ছিল। বিয়ের কিছু দিন পরে ভাগ্নির সঙ্গে ফোনে কথা বলা নিয়ে সঞ্জয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয় রাহুলের। অভিযোগ, এর পর থেকে রাহুল প্রায়ই হুমকি দিচ্ছিল সঞ্জয়কে। তাঁর দাবি, প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।

অভিযোগ, ওই দিন রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে সঞ্জয়ের পথ আটকায় রাহুল ও তার সঙ্গীরা। বাড়ির সামনেই সঞ্জয়কে বন্দুকের বাট, ইট, রড, লাঠি দিয়ে চলে এলোপাথাড়ি মারধর। সঞ্জয় বলেন, ‘‘কোনও মতে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে এসেছি।’’ পরে দক্ষিণেশ্বর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত বছরের শুরুতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে অভিযুক্ত জয়ন্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এখনও সে জেলবন্দি রয়েছে। কিন্তু তার পরেও তার বিভিন্ন অনুগামীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠছে।

স্থানীয়দের দাবি, পারিবারিক বিবাদ হোক বা অন্য কিছু, জয়ন্তের অনুগামীদের দাদাগিরি ওই এলাকায় অব্যাহত। তারই ফল সঞ্জয়কে মারধর। তাঁর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে দক্ষিণেশ্বর থানার পুলিশ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ariadaha Jayanta Singh

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy