Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

অশোকনগর-কল্যাণগড়ের চিঠি

আনন্দবাজারে প্রকাশিত ‘আমার শহর অশোকনগর-কল্যাণগড়’ পড়ে খুবই ভাল লেগেছে। শহরের সমস্যার পাশাপাশি যে ভাবে অতীত ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হলে প্রতিবেদনটি সমৃদ্ধ হত।

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৪২
Share: Save:

ট্রেন চাই

আনন্দবাজারে প্রকাশিত ‘আমার শহর অশোকনগর-কল্যাণগড়’ পড়ে খুবই ভাল লেগেছে। শহরের সমস্যার পাশাপাশি যে ভাবে অতীত ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হলে প্রতিবেদনটি সমৃদ্ধ হত। এই শহরের অন্যতম সমস্যা স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে। এখানে সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু ছাড়া কার্যত কিছুই হয় না। উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। সড়ক পথে কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও খুবই খারাপ। হাজার হাজার মানুষ প্রতি দিন এই এলাকা থেকে কলকাতায় যাতায়াত করেন। কিন্তু নির্দিষ্ট লোকাল ট্রেন নেই। হাবরা, গোবরডাঙা বা ঠাকুরনগর লোকাল থাকলেও আজ পর্যন্ত অশোকনগর লোকাল ট্রেন চালু হল না। ভাল ইংরেজি মাধ্যম স্কুল চালু হলে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা উপকৃত হবে।

ঋতুপর্ণা চট্টোপাধ্যায়, হরিপুর।

সরকারি বাস চাই

আমাদের এলাকা মোটামুটি ভাবে পরিচ্ছন্ন এবং তুলনায় শান্ত। কিন্তু মাঝে মধ্যে রাস্তাঘাটের ভাঙাচোরা অবস্থার জন্য নাগরিকদের সমস্যায় পড়তে হয়। সরকারি হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও পরিষেবা বেশ খারাপ। কলকাতা যাওয়ার সরাসরি বাস এখান থেকে ছাড়ে না। লাইব্রেরি আছে বটে, কিন্তু সেখানে জোগান অপ্রতুল। একটি স্যুইমিং পুল থাকলে অনেকে শরীর চর্চার সুযোগ পাবেন।

তপন রায়চৌধুরী, কল্যাণগড়।

দু’একটি কথা

‘আমার শহর অশোকনগর-কল্যাণগড়’ প্রতিবেদনে এলাকার অনেক সুবিধা-অসুবিধাগুলির কথা বিশদে তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু দু’একটি কথা বলার প্রয়োজন। এলাকার ‘শহিদ সদন’ নামে প্রেক্ষাগৃহটির অবস্থা বেশ খারাপ। এটির দ্রুত আধুনিকিকরণ করা না হলে সংস্কৃতি চর্চায় ব্যাঘাত ঘটছে।

স্বদেশ মুন্সি, কল্যাণগড়।

প্রশিক্ষণ দরকার

খেলাধুলায় আরও উন্নত মানের প্রশিক্ষণ পেলে অশোকনগর-কল্যাণগড়ের ছেলেমেয়েরা অনেকটা উপকৃত হবে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির মেধাবী কিন্তু দুঃস্থ পড়ুয়াদের জন্য যদি এই এলাকার টাউন লাইব্রেরি থেকে সম্পূর্ণ শিক্ষাবর্ষের জন্য বিনা খরচে পাঠ্যবই বিলি করে যায়, তা হলে অনেক ছাত্রছাত্রী উপকৃত হবে।

স্বপন দেব।

কৌলিন্য ফিরুক

এলাকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ছিল বহু প্রশংসিত। নানা কারণে সেই কৌলিন্য কমেছে। যা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রতিটি নাগরিকের সচেতন হওয়া উচিত। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের আরও তৎপর হওয়া দরকার।

কৌশিক সরখেল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE