মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে এ বার গোবরডাঙার বন্ধ হাসপাতাল নিয়ে কোনও আলোচনা হল না!
বারাসতে মঙ্গলবার ওই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীও কোনও কথা তুললেন না। সভায় হাজির গোবরডাঙার ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান শঙ্কর দত্তও কিছু বলেননি। এই ঘটনায় হতাশ গোবরডাঙার মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘আশা করেছিলাম মুখ্যমন্ত্রী এ বার গোবরডাঙার হাসপাতাল নিয়ে কোনও বার্তা দেবেন। কিন্তু তা হল না। অথচ এলাকায় হাসপাতালটি খুব জরুরি।’’ কবে বন্ধ হাসপাতাল ফের পুরোপুরি চালু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই থাকতে হল পুরবাসীকে।
আগের বার ব্যারাকপুরের প্রশাসনকি সভাতে পুরপ্রধান সুভাষ দত্ত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বন্ধ হাসপাতালের বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘বলে দেবেন হাসপাতাল হবে না।’’ মুখ্যমন্ত্রীর এই কথা বলার পর চারদিকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। গোবরডাঙা পুর উন্নয়ন পরিষদের ডাকে এলাকায় বন্ধ পালন হয়। ওই বন্ধের পর দলীয় নির্দেশেই সুভাষবাবু পুরপ্রধানের পদ থেকে সরে যান। কিন্তু তিনি কারণ হিসেবে শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়েছিলেন।