তুলির-টান: গোবরডাঙায়। নিজস্ব চিত্র
শুধু সদর রাস্তা নয়, আশেপাশের অলিগলিও ঝলমল করছে রঙে-আলোতে।
বিভিন্ন আর্ট কলেজের শিল্পী দিন-রাত এক করে আলপনা এঁকেছেন সরস্বতী পুজো উপলক্ষে। কিন্তু যাকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার খাঁটুরার উত্তরপাড়া। চলবে ২৮ তারিখ পর্যন্ত। তৈরি হয়েছে নতুন কমিউনিটি হল। সেখানে থাকবে পাঠাগার। এলাকার ছেলেমেয়েরা শিল্পকলার প্রশিক্ষণ নেবে, শেখানো হবে ইংরাজিতে কথাবার্তাও।
ললিত কলা অ্যাকাডেমি, চাঁদপাড়া গর্ভমেন্ট আর্ট কলেজের ২৮ জন শিল্পীর সঙ্গে জনা দশেক সহশিল্পী হাত মিলিয়ে এলাকার রাস্তা সাজিয়েছেন সুদীর্ঘ আলপনায়। ৫ হাজার স্কোয়ার ফিট এলাকা ১৬০ লিটার ‘ওয়েদার কোট’ রঙে ঝলমল করছে। ক্যানভাস পেইন্টিংয়ের ধাঁচে আলপনায় কলকা, বীণা, রাজহাঁস ভেসে উঠেছে। ভাস্কর সৌমেন কর বলেন, ‘‘বাংলাদেশের ভাষা দিবস, নববর্ষ থেকে শুরু এই ভাবনার। দুর্গাপুজোয় দক্ষিণ কলকাতায় এমন কাজ হয়েছে। তবে গোটা এলাকা ভরাট করে এমন ক্যানভাস পেন্টিং প্রথম।’’
রঙিন রাস্তার দু’পাশ ভাসছে ‘পিক্সেল’ আলোয়। মণ্ডপেও শিল্পের ছোঁয়া। কাঠ খোদাই করে তৈরি হয়েছে অরণ্য মহল। সেখানে হাতি, ঘোড়া, ময়ূর গড়েছেন শিল্পী রতন পাল। ২১ জানুয়ারি নদিয়ার শান্তিপুরের মহিলা বাদ্যশিল্পীদের সঙ্গে শোভাযাত্রা করে উৎসবের সূচনা করেন এলাকার মানুষ। তারপর থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে স্বাস্থ্য শিবির, রাজ্যব্যাপী অঙ্কন, ক্যুইজের মতো প্রতিযোগিতা। থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ভোগ বিতরণ হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের কান্দির বাদ্যশিল্পীদের সঙ্গে পা মিলিয়ে শেষ হবে অনুষ্ঠানের। প্রতিবারের মতো দেড়শো গরিব মেধাবী ছাত্রকে পড়াশোনার সামগ্রী দেওয়া হবে।
উৎসবের সম্পাদক অভীক বসু বলেন, ‘‘এর আগে এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্স, আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল কল, মাল্টিজিম গড়া হয়েছে। এ বার কমিউনিটি হল উদ্বোধন হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy