Advertisement
E-Paper

ভাঙা রেলিং-পাটাতন, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

সত্তরের দশকের আগে বাগজোলা-কুলটি খালের উপরে তৈরি হয়েছিল কাঠের ওই সাঁকোটি। তার আগে ওই খালে খেয়া পারাপার হত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:১৮
ঝুঁকি: এ ভাবেই চলছে যাতায়াত। ছবি: সামসুল হুদা

ঝুঁকি: এ ভাবেই চলছে যাতায়াত। ছবি: সামসুল হুদা

সাঁকো তো নয় যেন মরণফাঁদ! কাঠের পাটাতন ভেঙে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। সাঁকোর দু'পাশের কাঠের রেলিংও ভেঙে গিয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ার ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এমনই অবস্থা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় ১ ও ২ ব্লকের মধ্যে অন্যতম সংযোগকারী বাগজোলা খালের উপরে নির্মিত কাঠের সাঁকোটির।

সত্তরের দশকের আগে বাগজোলা-কুলটি খালের উপরে তৈরি হয়েছিল কাঠের ওই সাঁকোটি। তার আগে ওই খালে খেয়া পারাপার হত। পরবর্তী সময়ে কাঠের সাঁকোটি তৈরি করা হয়। ভাঙড় ১ ও ২ ব্লক তথা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে অন্যতম সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ এই সাঁকো আবার বাসন্তী হাইওয়ের সঙ্গে সংযোগকারী। এই সেতুর উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত সাইকেল, মোটরবাইক-সহ মানুষও যাতায়াত করেন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতুর উপর দিয়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, সরকারি কর্মী থেকে শুরু করে হাজার হাজার মানুষ পারাপার করেন। এই সাঁকোর দুই প্রান্তে রয়েছে ব্লক প্রশাসনের সদর দফতর, ব্যাঙ্ক, থানা, স্কুল কলেজ-সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, দোকান বাজার।

স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, এই গুরুত্বপূর্ণ সাঁকোটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এক সঙ্গে অনেকে উঠলে দুলে ওঠে সাঁকো। আরও অভিযোগ, ওই সাঁকোর উপর দিয়ে যাতে রিকশা, ইঞ্জিন ভ্যান যাতায়াত করতে না পারে, সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই প্রান্তে কাঠের খুঁটি পুঁতে দেওয়া হয়। তারপরেও এ রকম দুর্বল সাঁকোর উপর দিয়ে অধিকাংশ সময়ে জোর করে রিকশা, ভ্যানো পারাপার হয়। স্থানীয় বাসিন্দা পুলক মণ্ডল, আনিছুর মোল্লা বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে মেরামত না করার ফলে সাঁকোটির জরাজীর্ণ অবস্থা। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। অবিলম্বে সাঁকোটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রয়োজন। না হলে যে কোনও মুহূর্তে বড় বিপদ হতে পারে।" সাঁকোর উপরের কাঠের পাটাতন ভেঙে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। দিন কয়েক আগে এক বৃদ্ধা সাঁকো পেরোতে গিয়ে গর্তের মধ্যে পা ঢুকে গিয়েছিল। হাড় ভেঙে যায়। শুধু ওই বৃদ্ধাই নয় প্রায়ই ঘটছে এরকম ছোটখাট দুর্ঘটনা।

ভাঙড় ১ বিডিও সৌগত পাত্র বলেন, ‘‘ওই সাঁকোটি যে খারাপ হয়ে গিয়েছে, তা আমাদের নজরে এসেছে। ইতিমধ্যে আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরকে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত মেরামত করা সম্ভব হবে।"

Bagjola Canal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy