হাবড়ার নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থানায় শিশুর পরিজনেরা ও সেই নার্সিংহোম। —নিজস্ব চিত্র।
তাদের প্রসব হয়েছিল নার্সিংহোমে। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার কয়েক দিনের মধ্যে পর পর তিনটি শিশুর মৃত্যুতে হাবড়ার ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। অসুস্থ আরও তিন শিশু। মৃত শিশুদের পরিবারের তরফে হাবড়া থানায় ওই অভিযোগ হয়েছে। পুরসভা এবং স্বাস্থ্য দফতরকেও বিষয়টি জানিয়েছেন তাঁরা। স্বাস্থ্য দফতর খতিয়ে দেখছে। ইতিমধ্যে দফতরের আধিকারিকেরা ওই নার্সিংহোমে ঘুরে গিয়েছেন।
অশোকনগরের বাসিন্দা দীপঙ্কর দে-র স্ত্রী ১৭ নভেম্বর ওই নার্সিংহোমে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। ২২ নভেম্বর দীপঙ্কর হাসপাতাল থেকে স্ত্রী-সন্তানকে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। দীপঙ্কর জানান, ২৩ নভেম্বর শিশুর জ্বর আসে। কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৫ নভেম্বর সকালে সেখানে মৃত্যু হয়। দীপঙ্করের অভিযোগ, “নার্সিংহোমের গাফিলতিতেই ছেলে মারা গিয়েছে।”
অভিযোগ, ১৬-২২ নভেম্বরের মধ্যে ওই নার্সিংহোম প্রসব হওয়া শিশুদের মধ্যে ৬ জন শিশু বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও তিন জন অসুস্থ। পুরপ্রধান নারায়ণচন্দ্র সাহা বলেন, “স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। তাঁরা নার্সিংহোমেও এসেছিলেন। তাঁদের রিপোর্ট পেলে জানতে পারব, শিশুদের মৃত্যুর কারণ কী। নার্সিংহোমের গাফিলতি থাকলে পদক্ষেপ করা হবে।” হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাস জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা মন্তব্য করতে চাননি।
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে নার্সিংহোমের মালিক মলয় রায় বলেন, “জন্মের পরে সকলেই সুস্থ অবস্থায় এখান থেকে ফিরে গিয়েছিল। সেই মর্মে অভিভাবকেরা লিখিত দিয়ে গিয়েছেন। পরে বিসি রায় হাসপাতালে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্যভবন থেকে জানতে পেরেছি।” তিনি বলেন, “শিশু-মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে আমরাও অন্ধকারে। স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা এসেছিলেন। তাঁরাও কারণ খুঁজে পাননি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy