Advertisement
E-Paper

শিশুকে পেটানোর অভিযোগ

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাম্ভির গাছির মাজিদা বিবির বছর দশেক আগে বিয়ে হয়েছিল বসনে-বেনাপুর গ্রামের ঝন্টু ইসলামের সঙ্গে। পেশায় দিনমজুর ঝন্টুর শারীরিক অবস্থা এখন ভাল নয়। ভাল করে শ্বাস নিতে পারেন না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:১৯
যন্ত্রণা: মারের দাগ দেখাচ্ছেন মা। ছবি: সুজলকুমার চট্টোপাধ্যায়

যন্ত্রণা: মারের দাগ দেখাচ্ছেন মা। ছবি: সুজলকুমার চট্টোপাধ্যায়

স্বামী অসুস্থ, ঠিকমতো রোজগার নেই। কোনও দিন কাজ মেলে, কখনও মেলে না। তিনটি ছোট মেয়েকে নিয়ে অভাবের সংসার চালাতে নিজে সেলাই করেন স্ত্রী। তারপরেও কন্যাসন্তান হওয়ায় দু’বেলা শ্বশুরবাড়ির গঞ্জনা সহ্য করতে হত বলে অভিযোগ।

এ বার ওই মহিলা কন্যা সন্তানকে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ তুললেন ভাসুর, জা ও শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার নুরনগর পঞ্চায়েতের বেনাপুর গ্রামে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাম্ভির গাছির মাজিদা বিবির বছর দশেক আগে বিয়ে হয়েছিল বসনে-বেনাপুর গ্রামের ঝন্টু ইসলামের সঙ্গে। পেশায় দিনমজুর ঝন্টুর শারীরিক অবস্থা এখন ভাল নয়। ভাল করে শ্বাস নিতে পারেন না। সংসার চলে না। তারমধ্যেও কষ্ট করে মেয়েদের পড়াশোনা করাচ্ছেন মাজিদা।

এ দিন দুপুরে তিন সন্তানকে ভাত খাওয়াতে বসেছিলেন মাজিদা। অভিযোগ, সে সময়ে ভাসুর সরিফুল ইসলাম চার বছরের সোনিয়া পারভিনকে ইট দিয়ে থেঁতলে মেরে ফেলানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। নয় বছরের মেয়ে তুহিনা ও সাত বছরের নাজিমাকে নিয়ে পালাতে যান মাজিদা। অভিযোগ, বঁটি নিয়ে তাঁদের তাড়া করে সরিফুল। পালিয়ে মেয়েদের নিয়ে থানায় যান ওই তরুণী।

তুহিনার পিঠে জখমের দাগ স্পষ্ট। যন্ত্রণায় ছটফট করছে শিশুটি। চোখেমুখে আতঙ্ক। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Torture Mother Son বেনাপুর
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy