Advertisement
E-Paper

বিছানায় স্ত্রীর পচাগলা দেহ আগলে স্বামী, বিশেষ ভাবে সক্ষম পুত্র! দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীদের খবর দিলেন মৃতার বোন

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃপ্তির স্বামী অসুস্থ। পুত্র বিশেষ ভাবে সক্ষম। দিন কয়েক আগেই মৃত্যু হয় তৃপ্তির। প্রতিবেশীরা কিছু জানতে পারেননি।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:১৩
মৃতার স্বামী গৌর নন্দী।

মৃতার স্বামী গৌর নন্দী। — নিজস্ব চিত্র।

নৈহাটিতে কলকাতার রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া! অভিযোগ, কয়েক দিন ধরে স্ত্রীর দেহ আগলে দিন কাটাচ্ছিলেন অসুস্থ স্বামী এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম পুত্র। ঘর থেকে দুর্গন্ধ বার হওয়ার পর খবর দেওয়া হয় থানা। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ৫৫ বছরের তৃপ্তি নন্দীর দেহ উদ্ধার করে। স্বামী গৌর নন্দীকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

নৈহাটি পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শাস্ত্রী রোডের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃপ্তির স্বামী অসুস্থ। পুত্র বিশেষ ভাবে সক্ষম। দিন কয়েক আগেই মৃত্যু হয় তৃপ্তির। প্রতিবেশীরা কিছু জানতে পারেননি। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলে তৃপ্তির বোন হাওড়া থেকে দেখা করতে এসেছিলেন। সে সময় ঘর থেকে দুর্গন্ধ বার হচ্ছিল বলে তিনি জানান। এর পরে ঘরে ঢুকে দেখেন, তাঁর দিদির দেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। দেহের দু’পাশে রয়েছে তৃপ্তির স্বামী ও পুত্র।

তৃপ্তির বোন প্রতিবেশীদের জানালে তাঁরা তৎক্ষণাৎ থানায় খবর দেন। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় নৈহাটি থানার পুলিশ। পুলিশ এসে তৃপ্তির দেহ উদ্ধার করে। তাঁর অসুস্থ স্বামী গৌরকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিবেশীরা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তৃপ্তি। নৈহাটির পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় জানান, নৈহাটিতে এর আগেও এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল। প্রসঙ্গত, কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে বোনের মৃতদেহ আগলে ছিলেন দাদা পার্থ দে। দু’টি কুকুরের কঙ্কালও উদ্ধার হয়েছিল। বাবা অরবিন্দ দে-র দগ্ধ দেহ উদ্ধারের সূত্রেই ওই বাড়িতে প্রথম ঢোকে পুলিশ। তার পর প্রকাশ্যে আসে পার্থের দিদি দেবযানী এবং দুই কুকুরের কঙ্কাল।

Body Recovered
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy