পণের দাবিতে বধূকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়ার খাসপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম নাজমুন নাহার খাতুন (১৮)। তাঁর বাবা সিরাজুল মোল্লার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্বামী তরিকুল মোল্লা, শাশুড়ি শহরবাবু বিবিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শ্বশুর গোলাম রসুল মণ্ডলের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭ জানুয়ারি মিনাখাঁর জয়গ্রামে বাড়ি নাজমুনের সঙ্গে বাদুড়িয়ার খাসপুরের বাসিন্দা তরিকুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। নাজমুন এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তিনি বাপের বাড়ি যান। কিছু দিন আগে তরিকুল তাঁকে বাড়িতে অনুষ্ঠান বলে নিয়ে আসে।
পুলিশ জানায়, বাপের বাড়িতেও একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারায় শ্বশুরবাড়িতে এসে ওই তরুণীর সঙ্গে তরিকুলের বচসা বাধে। এই ঝামেলা মেটাতে নাজমুনের বাবা-মাকে তরিকুলের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করা হয়। ওই বধূর বাবা জানান, বৃহস্পতিবার মেয়ে বাবার সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন। শুক্রবার সকালে একটি ঘর থেকে নাজমুনের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে স্থানীয় রুদ্রপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সিরাজুল বলেন, ‘‘বিয়ের সময়ে জামাই এক লক্ষ টাকা-সহ অন্য জিনিসপত্র চেয়েছিল। সব দিতে পারলেও টাকাটা দিতে পারিনি। সে কারণেই মেয়েকে মরতে হল।’’ শ্বশুরবাড়ি লোকেরাই বালিশ চাপা দিয়ে মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে তাঁর দাবি। অভিযুক্ত তরিকুল ও তার মা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই বিয়েতে নাজমুনের মত ছিল না। তাঁর অন্যত্র সম্পর্ক ছিল। সে কারণেই নাজমুন আত্মহত্যা করেছে। তাঁদের কথায়, ‘‘আমরা যদি খুন করতাম তা হলে হাসপাতালে নিয়ে যেতাম না। তাঁর বাবা-মাকেও নিমন্ত্রণ করতাম না।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে না এলেকিছু বলা যাবে না। তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy