ঘুম: ওষুধের জের তখনও কাটেনি। নিজস্ব চিত্র
ঘুম ভাঙছে না পাড়ার ‘লালু-ভুলু’দের! গায়ে জল ঢাললেও ওঠার নামগন্ধ নেই। কোনও মতে ধাক্কাধাক্কিতে দু’তিন জন যাও বা উঠল, বাকিদের দুপুরেও ঘুম ভাঙার নাম নেই। আর তা দেখেই সোদপুরের তেজপাল মাঠ এলাকার বাসিন্দারা দাবি করছেন, সোমবার গভীর রাতে পরপর তিনটি বাড়িতে চুরি করতে এসে চোরের দল পাড়ার ওই নেড়ি কুকুরগুলির সামনে নির্ঘাত ঘুমের ওষুধ স্প্রে করেছিল। ফলে রাতে এলাকায় অপরিচিতদের ঘোরাঘুরি করতে দেখেও চেঁচামেচি করতে পারেনি ওই সারমেয় দল।
যদিও কুকুরদের স্প্রে করার অভিযোগের তেমন সত্যতা নেই বলেই দাবি তদন্তকারীদের। তবে চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, তেজপাল মাঠ এলাকায় রয়েছে পেশায় সেলাইকর্মী অমল ভৌমিকের বাড়ি। তাঁর স্ত্রী রীতাদেবী জানান, সেলাইয়ের কাজ শেষ করে সোমবার রাত ২টো নাগাদ তিনি ঘুমোতে যান। পাশের ঘরে তালা দেওয়া ছিল। রীতাদেবী বলেন, ‘‘ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ প্রতিবেশীরা এসে বাইরে থেকে আটকানো ঘরের দরজা খুলে আমাদের বার করেন। বেরিয়ে দেখি পাশের ঘরের তালা ভেঙে আলমারি থেকে নগদ কয়েক হাজার টাকা, সোনার চেন, মোবাইল চুরি হয়ে গিয়েছে।’’
ওই মহিলার দাবি, রাতে এলাকায় অপরিচিত কাউকে দেখলেই চিৎকার করে কুকুরগুলি। কিন্তু ওই রাতে কারও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। ভৌমিক বাড়ির থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে একতলা বাড়িতে একাই থাকেন সত্তরোর্ধ্ব সোনাদেবী সাউ। তিনি বলেন, ‘‘রাত ১টা নাগাদ শুয়ে পড়েছিলাম। সকালে বাইরে বেরিয়ে দেখি সদর দরজার তালা ভাঙা। এর পরে দেখি ঘরের আলমারি, পাশের ঘর, ঠাকুর ঘরের সব লন্ডভন্ড।’’ ওই বৃদ্ধার মেয়ে রুমি রেজের অভিযোগ, নগদ কয়েক হাজার টাকা, মোবাইল-সহ বেশ কিছু জিনিস চুরি গিয়েছে। তিনিও দাবি করেছেন, এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ খড়দহ থেকে এসে তিনিও দেখেন পাড়ার ৫-৬টি কুকুর গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। রুমি বলেন, ‘‘গায়ে জল ঢাললেও কুকুরের ঘুম ভাঙছিল না। দুপুরেও দেখি ঝিমোচ্ছে।’’ সোনাদেবীদের বাড়ির কয়েকটা বাড়ি পরে আরও একটি বাড়ির ভাড়াটের ঘর থেকেও খোয়া গিয়েছে বেশ কিছু জিনিস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy