Advertisement
E-Paper

শাসক দলের সঙ্গে আইএসএফের মারামারি ভাঙড়ে

আব্বাস-অনুগামীদের সঙ্গে এর আগেও ভাঙড়ে গোলমাল বেধেছে তৃণমূলের।

সামসুল হুদা 

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২১ ০৬:৫৩
 হুমকি: পুলিশের দিকে ইট নিয়ে তেড়ে যাচ্ছে একজন। ইনসেটে, গোলমালে জখম তৃণমূল কর্মী। রবিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

হুমকি: পুলিশের দিকে ইট নিয়ে তেড়ে যাচ্ছে একজন। ইনসেটে, গোলমালে জখম তৃণমূল কর্মী। রবিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

ব্রিগেডে সংযুক্ত মোর্চার সমাবেশের দিন, রবিবারই তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। ব্রিগেড যোগ দিতে যাওয়ার পথে আইএসএফ কর্মীদের গাড়ি আটকানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দলের মারামারি বেধে যায়। উভয় পক্ষের জনা দশেক গুরুতর জখম হয়েছেন। একটি পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে আইএসএফ কর্মীদের বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ভাঙড় থানার দুর্গাপুর ও এরেন্ডা পিয়াদাপাড়া এলাকার। ডিএসপি (ক্রাইম) তমাল সরকার বলেন, দু’দলের মধ্যে মারামারি হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের খোঁজ করা হচ্ছে।’’

আব্বাস সিদ্দিকী দল ঘোষণার আগে থেকেই ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকায় জনসভা শুরু করেছিলেন। আব্বাস-অনুগামীদের সঙ্গে এর আগেও ভাঙড়ে গোলমাল বেধেছে তৃণমূলের। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ভাঙড়ের দুর্গাপুর এলাকা থেকে আইএসএফ কর্মীরা ব্রিগেড সমাবেশে যাওয়ার জন্য গাড়িতে রওনা দেন। অভিযোগ, গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করে তৃণমূল। বাঁশ, লাঠি, ইট নিয়ে মারপিট বাধে। আইএসএফ কর্মীরা দুর্গাপুর পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।

খবর পেয়ে ডিএসপি (ক্রাইম) তমাল সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারাই উভয়পক্ষকে এলাকা থেকে হটিয়ে দেয়।

গোলমালের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এরেন্ডা পিয়াদাপাড়াতেও শাসক দলের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। ভাঙড় থানার পুলিশ গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে।

মারামারিতে গুরুতর জখম হয়েছেন তৃণমূল কর্মী ছায়েদ আলি মোল্লা। তাঁর মাথা ফেটেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভাঙড়ের নলমুড়ি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পাঠানো হয়েছে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসেছে।

ভাঙড় ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাজাহান মোল্লা বলেন, ‘‘ওরা পরিকল্পিত ভাবে আমাদের আক্রমণ করে। পাঁচজন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। ওরা পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে। দু’টি মোটর বাইক ভাঙচুর করেছে। আমরা চাই যারা সরকারি সম্পদ ভাঙচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।’’

অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আইএসএফের ভাঙড় ১ ব্লকের সভাপতি শরিফুল মোল্লা বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীরা যাতে ব্রিগেড সমাবেশে যেতে না পারেন, সে জন্য শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা আমাদের মিছিলের গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করে। আমরা প্রতিবাদ করলে ওরা মারধর শুরু করে। এই ঘটনায় আমাদের ১০ জন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। আমাদের দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।’’

TMC Abbas Siddique
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy