E-Paper

চলতি মাসেই শিলান্যাস গঙ্গাসাগর সেতুর, দাবি প্রশাসনের

সাগরে মুড়িগঙ্গা নদীর উপরে সেতুর দাবি দীর্ঘ দিনের। প্রশাসন সূত্রের খবর, বহু দিন দরপত্র সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে ছিল কাজ। তবে ইতিমধ্যে পূর্ত দফতরের তৎপরতায় নির্মাণকারী সংস্থা নির্বাচন হয়ে গেছে। দায়িত্ব পেয়েছে লারসেন অ্যান্ড টুব্রো (এল অ্যান্ড টি)।

সমরেশ মণ্ডল

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:১৬
মুড়িগঙ্গা নদী।

মুড়িগঙ্গা নদী। — ফাইল চিত্র।

বহু প্রতীক্ষিত গঙ্গাসাগর সেতুর নির্মাণকাজ অবশেষে শুরু হতে চলেছে। চলতি মাসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেতুর শিলান্যাস করতে পারেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

সাগরে মুড়িগঙ্গা নদীর উপরে সেতুর দাবি দীর্ঘ দিনের। প্রশাসন সূত্রের খবর, বহু দিন দরপত্র সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে ছিল কাজ। তবে ইতিমধ্যে পূর্ত দফতরের তৎপরতায় নির্মাণকারী সংস্থা নির্বাচন হয়ে গেছে। দায়িত্ব পেয়েছে লারসেন অ্যান্ড টুব্রো (এল অ্যান্ড টি)।

কয়েক দিন আগেই সংস্থার প্রতিনিধিরা কাকদ্বীপ লট ৮ ও সাগরের কচুবেড়িয়া এলাকা ঘুরে দেখেছেন। কোথায় কোথায় শিবির তৈরি হবে, তা ঠিক হয়েছে।ধান কাটার কাজ শেষ হলেই শিবির নির্মাণ শুরু হবে বলে সংস্থা সূত্রের খবর। সেতুর জন্য প্রয়োজনীয় মাটি পরীক্ষার কাজও ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রের খবর, উভয় দিকে জমি কেনার কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ। পাঁচ-ছ’জন জমিদাতা ইচ্ছুক হলেও কাগজপত্র সংক্রান্ত কিছু সমস্যার কারণে তাঁদের ক্ষতিপূরণ এখনও মেটানো সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুতই সেই সমস্যা মিটবে বলে মনে করছে জেলা প্রশাসন। গত বছর বাজেটে সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ছিল প্রায় ১৪৩৯ কোটি টাকা। সম্প্রতি নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দরপত্র-প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রকল্পের বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা। এ বছর গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সেতুর শিলান্যাস করবেন বলেও জানিয়েছেন।

জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, বরাদ্দ বাড়ার কারণ বাজারদরের পরিবর্তন। প্রস্তাবিত সেতুটি হবে প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ। থাকবে ২১টি থাম, যার ১৯টিই দাঁড়াবে মুড়িগঙ্গা নদীর উপরে। সেতু তৈরি হলে সাগরদ্বীপে পৌঁছতে আর ট্রলার-ভেসেলের উপর নির্ভর করতে হবে না। মূল ভূখণ্ড থেকে সরাসরি গাড়ি নিয়ে সাগরদ্বীপে পৌঁছনো যাবে। ফলে প্রতি বছর গঙ্গাসাগর মেলায় আসা লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর সুবিধা হবে। এখন মুড়িগঙ্গা নদী পেরোতে ভেসেলে সময় লাগে ৪৫ মিনিট, সেতু হলে তা কমে দাঁড়াবে ৪-৫ মিনিটে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

gangasagar kakdwip

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy