Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Health check-up

ঘোজাডাঙা সীমান্তে স্বাস্থ্য পরীক্ষার দাবি 

বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ট্রাক চালক এবং খালাসিদের যাতে পরীক্ষা করা হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

ঘোজাডাঙায় শুল্ক দফতরের কর্মীরা মাস্ক, দস্তানা পরে কাজ করছেন। নিজস্ব চিত্র

ঘোজাডাঙায় শুল্ক দফতরের কর্মীরা মাস্ক, দস্তানা পরে কাজ করছেন। নিজস্ব চিত্র

নির্মল বসু
বসিরহাট শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২০ ০২:৩০
Share: Save:

বিদেশি পর্যটকদের ভারতে ঢোকা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। কিন্তু ট্রাক চালকেরা নিয়মিত পণ্য নিয়ে ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করছেন। তাঁদের কোনও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে না। এ নিয়ে চিন্তিত বসিরহাটের ঘোজাডাঙা বন্দরের সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মী-আধিকারিকেরা। এ বিষয়ে শুল্ক সংশ্লিষ্ট দফতরের ডেপুটি কমিশনার প্রশান্ত গিরি বলেন, ‘‘শনিবার থেকে বিদেশিদের ভারতে ঢোকা বন্ধ করা হলেও পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধের কোনও নির্দেশ আসেনি। দুই দেশের ট্রাক চালক ও খালাসিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে না। ফলে এখানকার মানুষ আতঙ্কে ভুগছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের জন্য মাস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’

বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ট্রাক চালক এবং খালাসিদের যাতে পরীক্ষা করা হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

এ দিন দুপুরে ঘোজাডাঙা সীমান্তে হাতে দস্তানা ও মুখে মাস্ক পরে পাহারা দিতে দেখা গেল বিএসএফ জওয়ানদের। ভারতীয় যাঁরা বাংলাদেশে যাচ্ছেন কিংবা আসছেন তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং নাম নথিভুক্তের জন্য তিনজন আশাকর্মী বসানো হয়েছে। শুল্ক দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এ ভাবে আশাকর্মীদের দিয়ে করোনা আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে না। উন্নতমানের চিকিৎসার সরঞ্জাম প্রয়োজন। বাংলাদেশ থেকে ফেরা ভারতীয় এবং ট্রাক চালক ও খালাসিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা দরকার।’’ একই দাবি সীমান্তে গোয়েন্দা দফতরের এক কর্মীর। তিনি বলেন, ‘‘যে সব ভারতীয় বাংলাদেশে যাচ্ছেন কিংবা সেখান থেকে ফিরছেন, তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি।’’

ঢাকার বাসিন্দা ট্রাক চালক সহিদুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘‘বিভিন্ন দেশের মানুষ আছেন আমাদের দেশে। আমাদের দেশের অনেক ট্রাক চালক বিভিন্ন দেশে যান। তাঁদের কারও শরীরে করোনাভাইরাস আছে কিনা, সে বিষয়ে ভারতে ঢোকার সময়ে কোনও পরীক্ষা করা হচ্ছে না। এতে ভয় লাগছে।’’ ঘোজাডাঙা ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়াডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কান্তি দত্ত বলেন, ‘‘প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিয়ে শ’খানেক ট্রাক এ দেশে আসছে। এ দিক থেকে চারশোর বেশি ট্রাক বাংলাদেশে যাচ্ছে। চালক-খালাসিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা তো করতেই হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE