দৈনিক করোনা-সংক্রমণ কমেছে গাইঘাটায়। এ বার ব্লকে সংক্রমণ শূন্যে নামাতে পদক্ষেপ করল জেলা প্রশাসন। রবিবার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা ও প্রশাসনের কর্তারা গাইঘাটা ব্লকের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখেন। বিএমওএইচ সুজন গায়েন বলেন, ‘‘দৈনিক সংক্রমণ কমেছে। শনিবার আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ জন। মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে পাঁচটি। সংক্রমণ আরও কমাতে পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’
গাইঘাটার ঠাকুরনগরে রয়েছে রাজ্যের অন্যতম বড় ফুল বাজার। রোজ কয়েক হাজার ক্রেতা ও বিক্রেতা সেখানে আসেন। অভিযোগ, বাজারে শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় থাকছে না। অনেকেই মাস্ক পরেন না। জেলাশাসক বলেন, ‘‘সোমবার থেকে আগামী এক সপ্তাহ প্রত্যেক দিন ঠাকুরনগর ফুল বাজার চালু থাকবে ৫০ শতাংশ ব্যবসায়ী নিয়ে। প্রত্যেকে বাজারে বসবেন এক দিনের ব্যবধানে। সকলকে মাস্ক পরতে হবে। বাজার জীবাণুমুক্ত করা হবে। এই কাজ দেখাশোনার জন্য একটি টাস্কফোর্স গড়া হয়েছে।’’ এ দিন জেলাশাসকের সঙ্গে ছিলেন বনগাঁর পুলিশ সুপার তরুণ হালদার, মহকুমা শাসক প্রেম বিভাস কাঁসারি, গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস ও বিএমওএইচ। গোবিন্দ বলেন, ‘‘গাইঘাটার বড় বাজারগুলিতেও (যেমন চাঁদপাড়া ঠাকুরনগর গাইঘাটা, পাঁচপোতা) সোমবার থেকে পরবর্তী সাতদিন জারি থাকবে বিধিনিষেধ। যে দিন মাছ ও আনাজ বাজার খোলা থাকবে, সে দিন মুদি-সহ অন্য দোকানপাট বন্ধ থাকবে। আবার যে দিন দোকানপাট খোলা থাকবে, সেদিন মাছ ও আনাজ বাজার বন্ধ থাকবে। তবে ওষুধের দোকানকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।’’ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে গাইঘাটা ব্লকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১,৪০০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের। এ দিন পর্যন্ত অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৭২। জেলাশাসকের দাবি, উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা-সংক্রমিতের সংখ্যা অনেক কমেছে। সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনাই লক্ষ্য। বাজার খোলার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এক সপ্তাহ পর্যন্ত তা
জারি থাকবে।