করোনা আক্রান্ত হলে কত ধরনের ভোগান্তি হতে পারে, তার নানা ছবি গত চার মাস ধরে উঠে এসেছে। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়রানি, পাড়ায় একঘরে হওয়া, মৃত্যু ঘটলে সৎকারে সমস্যা— এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং প্রশাসনিক নজরদারি ঘিরে। এরই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও একটি সমস্যা। কোনও বাড়িতে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাঁদের গৃহনিভৃতবাসে থাকার কথা। কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাঁর পরিবারের লোকজনকে বাড়ির বাইরে বেরোতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু তা হলে তাঁদের বাজার-হাট করবে কে, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কোথা থেকে আসবে, এই নিয়ে জটিলতা দেখা যাচ্ছে নানা জায়গায়।
কোথাও কোথাও পুলিশ-প্রশাসন বাড়িতে জরুরি জিনিসপত্র, ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু বহু ক্ষেত্রে পরিবারটিকে নিজেদের পরিচিতদের হাতেপায়ে ধরেও খাবার-দাবার, ওষুধ জোগাড় করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। কারণ, করোনা আক্রান্তের বাড়িতে ঢুকতে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। সে ভয় খুব অমূলকও নয়। যথেষ্ট সতর্কতা না নিয়ে আক্রান্তের বাড়িতে ঢুকলে অন্য কেউ করোনায় আক্রান্ত হতেই পারেন।
করোনা আক্রান্ত হয়ে ভাঙড় ২ ব্লকের সেফ হোমে রয়েছেন এক ব্যক্তি। পরিবারকে ১৪ দিন নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর। অভিযোগ, তারপর থেকেই ভাঙড় ২ ব্লকের নিমকুড়িয়া গ্রামে করোনা আক্রান্ত ওই রোগীর পরিবারকে একঘরে করে দিয়েছেন এলাকার লোকজন। অভিযোগ, কেউ খাবার-জল দিয়ে সাহায্য করছে না। বাড়ির লোকজনও বাইরে বেরোতে পারছেন না।