সৌরভ এবং পাপিয়া দাস।
রোজকার মতোই মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন যুবকটি। তার পর থেকেই তাঁদের ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ ছিল। বহু ক্ষণ পরেও ফ্ল্যাট থেকে সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঢুকে দেখে, গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সিলিং থেকে ঝুলছেন ওই যুবক। পাশেই খাটের উপরে পড়ে রয়েছে তাঁর স্ত্রীর দেহ।
সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ব্যারাকপুরের সুভাষ কলোনিতে। মৃতদের নাম সৌরভ দাস (৩৮) ও পাপিয়া দাস (৩২)। তাঁরা দু’জনেই একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। পুলিশ জানিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে প্রেম করে বিয়ে সৌরভ-পাপিয়ার। তাঁদের তিন বছরের একটি মেয়ে আছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন সৌরভ। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (১) কে কান্নান বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। তার জন্য স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আত্মহত্যা করেন সৌরভ। তবে ময়না-তদন্তের পরেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’’
কিন্তু কেন ঝামেলা? তদন্তকারীদের বক্তব্য, পাপিয়ার কারও সঙ্গে সম্পর্ক আছে, এমনই সন্দেহ ছিল সৌরভের। পাপিয়াও একই সন্দেহ করতেন। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে আগেও বচসা হয়েছে। পরিবারের সদস্যেরা একসঙ্গে বসে সমস্যা সমাধানেরও চেষ্টা করেছেন। পুলিশের অনুমান, সোমবার একই কারণে স্ত্রী-র সঙ্গে বচসা বাধে সৌরভের। তার পরেই ওই ঘটনা ঘটেছে। দু’টি দেহই ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ফ্ল্যাটটিও সিল করে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy