অনেক টালবাহানার পরে হাইকোর্টের রায়ে আবার নিজের চেয়ার ফিরে পেলেন সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। সোমবার দুপুরে রায়দিঘির মথুরাপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএমের সভাপতি পীযূষ বৈরাগী নিজের দফতরে আসেন। সঙ্গে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরাও ছিলেন।
ওই পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন সংখ্যা ৩২টি। নির্বাচনে সিপিএমে পেয়েছিল ২১টি। তৃণমূল জয়ী হয়েছিল ১০টি আসনে। একটি আসন পেয়েছিল এসইউসি। সিপিএমের ৭ জন সদস্য মাসখানেক আগে তৃণমূলে যোগ দিয়ে মোট ১৭টি আসন নিয়ে সিপিএমের সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। অনাস্থায় ভোটাভুটিতে পরাস্ত হন সিপিএমের সভাপতি। তারপরেই তৃণমূলের দখলে আসে ওই সমিতি। সভাপতি হয়েছিলেন তৃণমূলের পুতুল গায়েন।
কিন্তু অনাস্থা আনার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ত্রুটির অভিযোগ এনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পীযূষবাবু। কয়েক দিন আগেই রায় বেরোয় তাঁর পক্ষে।
পীযূষবাবু এ দিন বলেন, ‘‘প্রায় মাসখানেক ধরে নানা টালবাহানার জন্য পঞ্চায়েত সমিতির সমস্ত কাজ বন্ধ রয়েছে। সে সব কাজ দ্রুত শেষ করতে চাই।’’
তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা আমাদের ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিলেন, তাঁদের অনুরোধ করব, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা না করে দল থেকে পদত্যাগ করে জিতে আসুন।’’
অন্য দিকে, সোমবার হাসনাবাদ মুরারিশা পঞ্চায়েতে অনাস্থা ভোটে ১৯-০ ভোটে সিপিএমকে পরাজিত করে পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছে তৃণমূল। সিপিএমের প্রধান মানসুরা সর্দারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা আনা হয়েছিল। এ দিন ভোটাভুটি হয়।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে নির্দল প্রার্থী মানসুরা সর্দারের সমর্থনে মুরারিশা পঞ্চায়েত গঠন করেছিল তৃণমূল। উপপ্রধান হন রফিকুল ইসলাম। বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দেন রফিকুল। বসিরহাট উত্তর কেন্দ্র থেকে বিধায়কও হন তিনি। এরপরে মানসুরাও সিপিএমে যোগ দেন। হাসনাবাদ ব্লকের ভেবিয়া পঞ্চায়েতে সিপিএমের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy