মিনাখাঁয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তৃণমূলের লোকজন সিপিএমকে ভয় দেখায় বলে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।
মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয়। সিপিএমের অভিযোগ, মনোনন জমা দিতে গেলে ব্লক অফিসে তাদের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের আটকে দেন তৃণমূলের লোকজন। পরে সিপিএম পার্টি অফিস ঘেরাও করা হয় বলেও অভিযোগ। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য সায়নদীপ মিত্রের অভিযোগ, মিনাখাঁ ব্লকের বামনপুকুরে সিপিএমের পার্টি অফিস ঘেরাও করে তাঁদের কর্মীদের আটকে রাখে তৃণমূল। শাসকদলের লোকজনের হাতে লাঠি, আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলেও অভিযোগ। যদিও সিপিএমের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বলছেন, বিরোধীরা কেউ মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বাধা পেলে তাঁরা সাহায্য করবেন।
সোমবার মিনাখাঁর বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে যান সিপিএমের প্রার্থীরা। সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাধা দেওয়ার পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দিয়ে ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, বিডিও অফিস থেকে ফিরে তাঁরা পার্টি অফিসে যান। কিন্তু সেখানেও শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মিনাখাঁ থানার পুলিশ। সিপিএমের প্রার্থীরা যাতে মনোনয়ন জমা দিতে পারে তার সব রকম ব্যবস্থা হয় প্রশাসনের তরফে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সায়নদীপ বলেন, ‘‘আমাদের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র যাতে জমাই না দিতে পারেন, তার জন্য আটকানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে মনোনয়নপত্র জমা দেবই। তার পর যা হওয়ার হবে।’’
এ নিয়ে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘যদি কেউ মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন, তা হলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমি দায়িত্ব নিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy