রবিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন এক যুবক। শুক্রবার সকালে তাঁর বস্তা-বন্দি দেহ উদ্ধার করল অশোকনগর থানার পুলিশ।
চালতেতলা এলাকার এই ঘটনায় নিহতের নাম শঙ্কর সমাদ্দার (৩৪)। বাড়ি দেবীনগর এলাকায়। তিনি গাছ কেনাবেচা করতেন। শঙ্করবাবুকে খুনে জড়িত সন্দেহে এক যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ শঙ্কর তাঁর মা নীলিমাদেবীকে জানান, তিনি উত্তর হাবরা এলাকার বাসিন্দা নিতাই সাহার বাড়িতে যাচ্ছেন। রাতে না ফিরলেও তাঁরা যেন চিন্তা না করেন। সোমবার সন্ধ্যা হয়ে গেলেও ছেলে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। শঙ্করবাবুর দাদা বিপ্লব বলেন, ‘‘ভাইয়ের মোবাইল বন্ধ ছিল। আমরা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিই। শেষমেশ মঙ্গলবার থানায় ডায়েরি করি।’’
নিতাই নামে হাবরার যে পরিচিতের বাড়িতে যাবেন বলে শঙ্করবাবু বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, তাঁর কাছেও বিপ্লববাবুরা খোঁজ করতে গিয়েছিলেন। বিপ্লব বলেন, ‘‘নিতাই আমাদের জানান, ভাই আদৌ তাঁর কাছে যায়নি।’’
শুক্রবার সকালে চালতেতলা এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে বস্তা খুলে দেখে, যুবকের মাথায় ফুটো আছে। ডান হাত নেই। পরে পরিবারের লোকেরা থানায় গিয়ে দেহটি সনাক্ত করেন। শঙ্করের ডান হাত কেটে নেওয়া হয়েছে, নাকি শিয়াল-কুকুরে খেয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy