বিপদ: খোলা রয়েছে মিটার বাক্স। ছবি: নির্মল বসু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বসিরহাটে ফের মৃত্যু হল এক মহিলার। বুধবার সকালে ছোট জিরাকপুরের ধোপাপাড়ার এই ঘটনায় বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির বিরুদ্ধে আবারও গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন বাসিন্দারা। গত কয়েক মাসে কখনও খোলা রাখা তারে জড়িয়ে, কখনও তার ছিঁড়ে মাথায় পড়ে বসিরহাটে এক মহিলা-সহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বুধবারের ঘটনায় মৃতার নাম স্বপ্না দত্ত (৩৫)। রেলগেটের কাছে বাড়ি-সংলগ্ন দোকান আছে তাঁর স্বামী রামপদবাবুর। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ স্বপ্নাদেবী উঠোনে ঝাঁট দিচ্ছিলেন। সে সময়ে সামনে থাকা বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত লাগে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা স্বপ্নাদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ঘটনার পিছনে বিদ্যুৎকর্মীদের গাফিলতি রয়েছে। আর্থিংয়ের তারের সঙ্গে বিদ্যুতের তার জড়ানো ছিল। মহিলার হাত আর্থিংয়ের তারে লাগতেই তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। বিদ্যুৎকর্মীরা পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আর্থিংয়ের তারের সঙ্গে যুক্ত থাকা বিদ্যুৎবাহী তারের সংযোগ ছিন্ন করে দেন। তার আগেই অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দারা ট্রান্সফর্মারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন।
বসিরহাট শহরের অনেক রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে খোলা রয়েছে মিটার বাক্স, বিদ্যুৎবাহী তার ঝুলছে। খুঁটিতে থাকা স্যুইচ ভাঙা। ক’দিন আগে অশোকনগরে পোলট্রির গায়ে জড়ানো হুকিংয়ের তারে হাত লেগে দুই নাবালকের মৃত্যুর পরে বসিরহাটেও দুর্ভাবনায় ভুগছেন অনেকে। বিদ্যুতের তার সারাই না হলে আরও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
কেন রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না তার?
সদুত্তর মেলেনি বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির স্থানীয় আধিকারিকদের কাছ থেকে। তবে বসিরহাটের পুরপ্রধান তপন সরকার বলেন, ‘‘এই সব সমস্যা নিয়ে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy