হাতাহাতি: তখনও চলছে গণ্ডগোল। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়
কাদের হাতে থাকবে মিড-ডে মিল রান্নার দায়িত্ব, তা নিয়ে সোমবার একপ্রস্ত ঝামেলা হয়েছিল। তখনকার মতো সমাধানের পরেও মঙ্গলবার নতুন করে বিশৃঙ্খলা ছড়াল দেগঙ্গার হাদিপুর আদর্শ হাইস্কুলে। ঘরে তালা ঝুলিয়ে ৩ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামকে। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। আসেন দেগঙ্গা ব্লক অফিস থেকে মিড-ডে মিল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকও।
বিক্ষোভকারী মহিলাদের সঙ্গে আলোচনার সময়ে বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি হুমায়ুন রেজা চৌধুরী রান্নার কাজে যুক্ত সাবিনা খাতুন ও এসমাতারা বিবি নামে দুই মহিলাকে চড় মারেন বলে অভিযোগ। তাতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে স্কুল চত্বর। সভাপতিকে তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে, এই দাবিতে প্রধান শিক্ষকের ঘরের সামনে বিক্ষোভ চলে। ইটবৃষ্টি শুরু করেন মহিলারা। হেনস্থার শিকার হন বিডিও অফিসের আধিকারিক শিবপ্রসাদ পালও।
সোমবারও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মধ্যে মারামারি, চুলোচুলি হয়েছিল। পরে স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি দু’পক্ষকে বুঝিয়ে রান্নার ব্যবস্থা করেন। মঙ্গলবার সকালে মহিলাদের রান্না করতে হবে না বলে জানিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম। অভিযোগ, মহিলাদের উপরে তেড়েও যান প্রধান শিক্ষক। আরও অভিযোগ, পরিস্থিতি সামলাতে এসে দুই মহিলাকে চড় মারেন হুমায়ুন। তারপরেই উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বেলা ৩টে নাগাদ মিড ডে মিল রান্না শুরুও হয়।
সাবিনার অভিযোগ, ‘‘প্রধান শিক্ষকের ঘরে যখন আলোচনা চলছে তখন হুমায়ুন আমাদের দিকে তেড়ে আসেন। প্রতিবাদ করতে গেলে আমার গালে চড় মারেন। অন্য মহিলাদের গায়েও হাত দেন।’’ যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি হুমায়ুন। তিনি বলেন, ‘‘আমি কাউকে মারিনি। আর মিড-ডে মিল দেখার দায়িত্ব ব্লক দফতরের।’’
বিডিও মনোজ কুমার বলেন, ‘‘মহিলাদের উপরে হাত তোলা অবশ্যই নিন্দনীয় ঘটনা। তবে কারা রান্না করবে, সে সমস্যা সমাধানের জন্য বুধবার ৭টি দলের ২ জন করে মহিলাকে নিয়ে আলোচনায় বসা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy