—প্রতীকী ছবি
জ্বর ও ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে বনগাঁ মহকুমা জুড়ে।
ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয় ভাবে পরীক্ষায় অনেকের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল ছাড়াও বাগদা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল ও গাইঘাটার চাঁদপাড়া ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালেও বহু মানুষ জ্বর নিয়ে চিকিৎসা করাতে ভিড় করছেন। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অগস্ট মাসে মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জ্বর নিয়ে মহকুমা হাসপাতালে এসেছিলেন প্রায় আড়াই হাজার মানুষ। যাঁদের অনেকে বহির্বিভাগে চিকিৎসক দেখিয়েছেন, অনেকে আবার ভর্তিও হয়েছেন।
বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো বলেন, ‘‘অগস্ট মাসে হাসপাতালে জ্বর নিয়ে আসা রোগীদের রক্তের অ্যালাইজা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ৮০ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে।’’ বনগাঁর মহকুমাশাসক কাকলি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মহকুমার যে সব এলাকা থেকে মানুষের রক্ত পরীক্ষায় এনএস-১ মিলেছে, সেখানে স্বাস্থাকর্মী, ব্লক প্রশাসনের কর্মী, এমনকী বিডিওরা নিজেরা চলে যাচ্ছেন। সেই বাড়িতে এবং আশেপাশের এলাকায় অন্য কোনও জ্বরে আক্রান্ত আছেন কিনা, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। খোঁজ মিললে তাঁদেরও রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমা হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষায় যাঁদের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে তাঁদের বাড়ি, চৌবেড়িয়া, খরুয়া রাজাপুর, বয়রা, আষাঢ়ু, দিঘারি, মেদিয়া, আংরাইল, পুরাতন বনগাঁ, চাঁপাবেড়িয়া, পশ্চিমপাড়া, শিবপুর এলাকায়। সিন্দ্রাণী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জ্বর ও ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি হচ্ছে বলে বাসিন্দারা জানান। বাগদার বিধায়ক দুলাল বর জানান, দ্রুত মেডিক্যাল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে রক্ত পরীক্ষা করাচ্ছেন। গত বছরও বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা, গোপালনগর থানা এলাকায় জ্বর-ডেঙ্গির প্রকোপ ছড়িয়েছিল। কয়েক জন মারা যান। প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতর ও পঞ্চায়েতগুলির ভূমিকা নিয়ে মানুষ প্রশ্ন তুলেছিলেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জ্বরে ভুগে গাইঘাটার এক মহিলা মারা গিয়েছেন। তাঁর রক্তে এসএস-১ মিলেছিল। স্থানীয় সূত্রের খবর, গাইঘাটার জ্বরে আরও দু’জন মারা যান। তবে প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, তাঁদের শরীরে অন্য রোগ ছিল।
বাসিন্দাদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোট ও বোর্ড গঠনের জন্য মশা মারার কাজ পঞ্চায়েতগুলি কার্যত করেনি। বাসিন্দারা নিজেরাই এই কাজে উদ্যোগী করেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমার তিনটি ব্লক এলাকায় প্রতি মাসে সাত দিন করে সাফাই অভিযান করা হচ্ছে। জমা জল পরিষ্কার ও মশা মারার তেল স্প্রে হচ্ছে। সরকারি অফিস হাসপাতাল স্কুল-কলেজ সর্বত্র চলছে সাফাই অভিযান ও মশা মারার কাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy