Advertisement
E-Paper

Dredging: ড্রেজিং চলছে, তবু ভোগান্তি মুড়িগঙ্গায়

ইতিমধ্যে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। নদী পেরোতে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরাও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:৩১
চেষ্টা: ড্রেজিং চললেও ফল নিয়ে সংশয়।

চেষ্টা: ড্রেজিং চললেও ফল নিয়ে সংশয়। ছবি: সমরেশ মণ্ডল

মাস দেড়েক হল সাগরের মুড়িগঙ্গা নদীতে শুরু হয়েছে ড্রেজিং। কিন্তু মানুষের দুর্ভোগ কমার লক্ষ্মণ নেই। এখনও ভাটার সময়ে নদী পেরোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সামনেই গঙ্গাসাগর মেলা। ইতিমধ্যে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। নদী পেরোতে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরাও।
এ বার নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছিল ড্রেজিং। প্রশাসনের দাবি, পাঁচটি আধুনিক মেশিন দিয়ে জোরকদমে কাজ চলছে। মেলার আগে কাজ শেষ হবে। তবে নিত্যযাত্রীদের একাংশ জানান, এত দিন ধরে ড্রেজিং চললেও তার ফল চোখে পড়ছে না।

নিত্যযাত্রী সুবেশ মণ্ডল বলেন, “কাজের সূত্রে সপ্তাহে বেশ কয়েকবার ভেসেল পারাপার করতে হয়। ভাটার সময়ে কখনও কখনও ছ’ঘণ্টা, কখনও সাত ঘণ্টা ভেসেল পরিষেবা বন্ধ থাকে। সারা বছর যে ড্রেজিং হওয়ার কথা, তা-ও হয় না। মেলার আগে ড্রেজিং হয়। এ বার ড্রেজিং শুরু হয়েছে দেড় মাস হল। কিন্তু পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি।” নিত্যযাত্রী সুমিত মুখোপাধ্যায় বলেন, “সারা বছর ড্রেজিং না হওয়ার ফলেই এই দুর্ভোগ। মেলার আগে কিছুদিন ড্রেজিং চলে। তারপরে আর হয় না। আমাদের সেই একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।”

বিহার থেকে গঙ্গাসাগরে এসেছেন পুণ্যার্থী রমেশ পটেল। তিনি বলেন, “আগের বছরও আমি গঙ্গাসাগরে এসেছি। নদীতে জল না থাকায় কাকদ্বীপের লট ৮ ঘাটে তিন ঘণ্টা বসেছিলাম। এ বারও দেখছি একই পরিস্থিতি।”

কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ১ নম্বর চ্যানেলে পাঁচটি আধুনিক ড্রেজিং মেশিন দিয়ে কাজ করছে সেচ দফতর। ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ নম্বর চ্যানেলের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন আর ভেসেল পরিষেবা এতক্ষণ বন্ধ থাকবে না। বাকি চ্যানেলের কাজও মেলা শুরুর আগে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Dredging River
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy