Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

মুম্বইয়ে ঢাক বাজিয়ে এখনও ফিরলেন না বসিরহাটের হরি

হরি দাস নামে ওই যুবকের দিদি পূর্ণিমা দাসের অভিযোগ, ভাইয়ের বাকি সাত সঙ্গী সময় মতো বাড়ি ফিরলেও হরির খোঁজ নেই।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বসিরহাট শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯ ০২:১৯
Share: Save:

দুর্গাপুজোয় মুম্বইয়ে ঢাক বাজাতে গিয়ে নিখোঁজ হলেন বসিরহাটের এক তরুণ।

হরি দাস নামে ওই যুবকের দিদি পূর্ণিমা দাসের অভিযোগ, ভাইয়ের বাকি সাত সঙ্গী সময় মতো বাড়ি ফিরলেও হরির খোঁজ নেই। বসিরহাট থানায় ভাইয়ের সঙ্গী রন দাস, শম্ভুনাথ চক্রবর্তী-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ করেছেন পূর্ণিমা। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। রনদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বসিরহাট থানার পুলিশ। মুম্বই পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার সীমান্তবর্তী ছোট বাঁকড়া গ্রামের বাসিন্দা হরি। বর্তমানে থাকতেন বসিরহাটের মোমিনপুরে। পূর্ণিমার দাবি, ২৯ সেপ্টেম্বর ভাইকে দুর্গাপুজোয় ঢাক ও কাঁসি বাজানোর জন্য বসিরহাটের ন্যাওরাদিঘির বাসিন্দা রন, শম্ভুনাথরা মুম্বইয়ে নিয়ে যান। সেখানে এক প্রবীণ বাঙালি অভিনেতার বাড়ির পুজোয় বরাত পেয়েছিলেন সকলে।

পূর্ণিমার দাবি, দিনে আড়াই হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে কথা দিয়েছিল রনরা। ৬ অক্টোবর রাতে হরি ফোনে জানান, মুম্বইয়ে নানা অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। টাকা না পাঠালে বাড়ি ফিরতে পারছেন না। এরপরেই লাইন কেটে যায়। পরে আর ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি পূর্ণিমা।

এক দিন পরে রন ফোন করে জানান, মুম্বই থেকে হরি পালিয়েছে। স্থানীয় থানায় তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন রন। কিন্তু পরে তাঁর সঙ্গেও আর যোগাযোগ করতে পারেননি পূর্ণিমা।

পুলিশ জানায়, বিজয়া দশমীর পরে সাত জন বাড়ি ফেরেন। কিন্তু বছর চব্বিশের হরি ফেরেননি। দলের প্রধান রনের বাড়িতে গিয়েছিলেন পূর্ণিমারা। কিন্তু হরি সম্পর্কে কোনও সদুত্তর পাননি তাঁরা। পূর্ণিমার দাবি, আর যাঁরা দলে ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে রন-শম্ভুনাথরা উচ্চবাচ্য করেননি। বাড়ি থেকে এক রকম বের করে দেওয়া হয় তাঁদের।

এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন পূর্ণিমা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা খুবই গরিব। ভাই মুম্বইয়ে ভাল বরাত পেয়েছে জানতে পেরে বাড়ির সকলে খুশি হয়েছিল।’’ পূর্ণিমার দাবি, মোবাইলের সিম হারিয়ে গিয়েছিল হরির। নবমীর রাতে মুম্বইয়ের ওই অভিনেতার বাড়ির প্রহরীর কাছ থেকে ফোন নিয়ে হরি ফোন করেন দিদিকে। বলেন, তার সেখানে ভাল লাগছে না। সঙ্গীরা তাঁকে বিক্রি করে দেওয়ার ছক কষেছে বলে মনে হচ্ছে। পূর্ণিমার দাবি, ‘‘ভাই বলেছিল, ও যদি মারা যায়, তা হলে যেন আমি কাউকে ছেড়ে না দিই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Drummer Durga Puja 2019 Mumbai
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE