গর্ভবতী এক মহিলাকে নষ্ট হয়ে যাওয়া ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ উঠল দেগঙ্গা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় রোগীর পরিবার। যোগ দেন স্থানীয় মানুষও। পরে ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা যায়, সত্যিই প্যাকেটে থাকা ওষুধগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে কি কারণে নষ্ট হয়েছে, তা পরীক্ষার জন্য রোগীর পরিবারের লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়। সঠিক তদন্তে আশ্বাসের পরেই বিক্ষোভ ওঠে।
দেগঙ্গার খেজুরডাঙা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে গত ১২ এপ্রিল তিন স্ট্রিপ ক্যালসিয়াম ওষুধ দেওয়া হয়েছিল ছ’মাসের গর্ভবতী এক মহিলাকে। বাড়ি ফিরে একটি ওষুধ খাওয়ার পরে তাঁর মলদ্বার দিয়ে আস্ত ওষুধটি বেরিয়ে যায়। তা দেখে ভয় পেয়ে যান মহিলা। স্বামীকে বিষয়টি জানান। স্বামী ওষুধের প্যাকেটের অন্য একটি ট্যাবলেট কাচের গ্লাসের মধ্যে ৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখেন। দেখা যায়, তবু গলেনি ওষুধ। বিষয়টি জানতে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয় লোকজন বিক্ষোভে সামিল হন।
নুরনগর পঞ্চায়েতের প্রধান তরুণকান্তি ঘোষ বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বেহাল। বিএমওএইচের দেখা নেই। অথচ, দেগঙ্গা ব্লকের ১৩টি পঞ্চায়েতের মানুষ এই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে নির্ভরশীল।’’ তিনি আরও জানান, চিকিৎসার মানোন্নয়নের জন্য প্রশাসন স্বাস্থ্য দফতরের নানা মহলে আবেদন জানানো হলেও কাজ হয়নি। চারজন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও এক জনের দেখা যায়। বাকিদের দেখা মেলে না বলে অভিযোগ।
শুক্রবার গর্ভবতী মহিলার স্বামী সঞ্জয় পালিত বলেন, ‘‘আমার স্ত্রীর ওষুধে যে ঘটনা ঘটেছে, আরও অনেককেই ওই ওযুধ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি অবিলম্বে দেখা উচিত।’’ দেগঙ্গা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ডাক্তার সিঞ্চন চন্দ বলেন, ‘‘অভিযোগ হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy