Advertisement
০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

কাগজপত্র নিয়ে চিন্তা নেই, বললেন কৃষিমন্ত্রী

ঝড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা-সহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু জমির ধান, আনাজ ও পান বরজের ক্ষতি হয়েছে। চাষিদের ক্ষতিপূরণের জন্য ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

কৃষিমন্ত্রী: রামপুরহাটে। নিজস্ব চিত্র

কৃষিমন্ত্রী: রামপুরহাটে। নিজস্ব চিত্র

সামসুল হুদা
ভাঙড় শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:২৩
Share: Save:

বুলবুল ঝড়ে চাষিদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সরলীকরণ করার কথা বললেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। চাষিরা ঠিক মতো আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বুধবার ভাঙড় ১ ব্লকে আসেন মন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক পি উলগানাথন, বিডিও সৌগত পাত্র, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাজাহান মোল্লা-সহ অন্যান্যরা।

ঝড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা-সহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু জমির ধান, আনাজ ও পান বরজের ক্ষতি হয়েছে। চাষিদের ক্ষতিপূরণের জন্য ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। গত কয়েক দিন ধরে ক্ষতিপূরণের আবেদনপত্র পূরণের কাজ চলছে নানা জায়গায়। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের আবেদনপত্রের সঙ্গে জমির পরচা, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং ব্যাঙ্কের পাস বইয়ের ফটোকপি জমা দিতে হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বহু এলাকায় জমির মিউটেশন না হওয়ার কারণে চাষির নিজের নামে জমির রেকর্ড নেই। অনেক চাষি মারা গেলেও তাঁর ছেলেমেয়ের নামে জমি রেকর্ড না থাকায় তাঁরা ক্ষতিপূরণের টাকা পাচ্ছেন না। এমনকী, মৃত চাষির পরিবার ওয়ারিশন সার্টিফিকেট জমা দিলেও তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

এ দিন ভাঙড় ১ ব্লক এসে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘‘চাষিদের অহেতুক চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি থেকে ওয়ারিশন শংসাপত্র জমির কাগজপত্রের সঙ্গে জমা দিলে ক্ষতিপূরণের টাকা মিলবে। তবে এ ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির দেওয়া ওই শংসাপত্র কেবলমাত্র চাষের ক্ষতিপূরণের জন্য বৈধ বলে ধরা হবে।’’

ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণের জন্য ব্লকে ব্লকে বিশেষ ক্যাম্প করে চলছে ফর্ম বিলি, পূরণ ও জমা নেওয়ার কাজ। কাগজপত্র খতিয়ে দেখার পরে সরাসরি চাষিদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে। তবে ওয়ারিশনের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতির দেওয়া শংসাপত্র বিএলআরও কাছ থেকে যাচাই করে আনতে হবে।

জেলাশাসকের কথায়, ‘‘ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে টাকা বরাদ্দ করেছে। চাষিরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান, সে জন্য আমরা ব্লক অফিসগুলিতে ক্যাম্প করছি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পঞ্চায়েত অফিসগুলিতে ক্যাম্প করার চিন্তাভাবনা চলছে।’’ তিনি জানান, ইতিমধ্যে চাষের ক্ষতিপূরণের জন্য জেলার প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE