Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

বৌমাকে মারধর, প্রতিবাদী ছেলের মাথা ফাটাল বাবা 

মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া থানার সালতিয়া ৩২ নম্বর রেলগেট এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রহৃত যুবকের নাম নরেশ পাণ্ডে। হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁর মাথায় সেলাই দিতে হয়। নরেশের স্ত্রী সঞ্চিতা হাবড়া থানায় তাঁর শ্বশুর ননী, কাকাশ্বশুর মাখন ও শাশুড়ি গোলাপির নামে অভিযোগ করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই মাখনকে গ্রেফতার করে। বাকি দুই অভিযুক্ত পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে।

জখম: প্রহৃত নরেশ পাণ্ডে

জখম: প্রহৃত নরেশ পাণ্ডে

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাবড়া শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:০৬
Share: Save:

স্ত্রীকে মারধরের প্রতিবাদ করে নিজের বাবার হাতে প্রহৃত হলেন এক যুবক। অভিযোগ, বাঁশ দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া থানার সালতিয়া ৩২ নম্বর রেলগেট এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রহৃত যুবকের নাম নরেশ পাণ্ডে। হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁর মাথায় সেলাই দিতে হয়। নরেশের স্ত্রী সঞ্চিতা হাবড়া থানায় তাঁর শ্বশুর ননী, কাকাশ্বশুর মাখন ও শাশুড়ি গোলাপির নামে অভিযোগ করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই মাখনকে গ্রেফতার করে। বাকি দুই অভিযুক্ত পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গানগরের বাসিন্দা সঞ্চিতার সঙ্গে বছর দেড়েক আগে বিয়ে হয় সালতিয়ার নরেশের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে নানা বিষয় নিয়ে সঞ্চিতার সঙ্গে শ্বশুর-শাশুড়ি এবং কাকাশ্বশুরের অশান্তি হত। তাঁকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। নরেশ স্ত্রীর অপমানের প্রতিবাদ করলে তাঁকেও অপমান করা হত বলে জানিয়েছেন সঞ্চিতা। ওই তরুণীর কথায়, ‘‘বিয়েতে বাপের বাড়ি থেকে বেশি জিনিসপত্র আনতে পারিনি, সে কথা তুলে আমাকে খোঁটা দেওয়া হত। ঠিক মতো খেতেও দেওয়া হত না। মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হত।’’ থানায় লিখিত অভিযোগে সঞ্চিতা জানান, ৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে তিন জন মারধর করে। সে কথা তিনি বাপের বাড়ির লোকজনকে জানান। ১২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বাপের বাড়ির লোকজন শ্বশুরবাড়িতে আসেন। তাঁরা সঞ্চিতার শ্বশুর-শাশুড়িকে অনুরোধ করেন, সঞ্চিতাকে যেন মারধর না করা হয়। অভিযোগ, ওই কথা শুনে অভিযুক্তেরা উল্টে আরও খেপে ওঠে। সঞ্চিতার উপরে চড়াও হয়। তাঁকে মারধর শুরু করে। নরেশ স্ত্রীকে বাঁচাতে গেলে তাঁর বাবা ননী বাঁশ দিয়ে ছেলের মাথায় আঘাত করে। সঞ্চিতা জানান, কাকাশ্বশুর তাঁকে লোক ডেকে ধর্ষণ করানোর হুমকিও দিয়েছেন।

নরেশের কথায়, ‘‘মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে পরিবারে অশান্তি ছিল। আমি সে কথা জেনে ফেলায় আমার উপরে মা ও কাকার আগে থেকেই রাগ ছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Wife Beating Torture
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE