Advertisement
E-Paper

জ্বর-ডেঙ্গি প্রাণ কাড়ল চার জনের

দেগঙ্গা-২ পঞ্চায়েতের তেলিয়া গ্রামের রানুয়ারা বিবি (৪৭) জ্বরে পড়েন বুধবার। প্রথমে এলাকার চিকিৎসককে দেখিয়ে ওষুধ খাচ্ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৫০
শোকার্ত: কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রানুয়ারা বিবির পরিবার। নিজস্ব চিত্র

শোকার্ত: কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রানুয়ারা বিবির পরিবার। নিজস্ব চিত্র

জ্বর-ডেঙ্গিতে মৃত্যু-মিছিল অব্যাহত উত্তর ২৪ পরগনায়। শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল— কয়েক ঘণ্টার তফাতে জ্বর-ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল আরও চার জনের।

দেগঙ্গা-২ পঞ্চায়েতের তেলিয়া গ্রামের রানুয়ারা বিবি (৪৭) জ্বরে পড়েন বুধবার। প্রথমে এলাকার চিকিৎসককে দেখিয়ে ওষুধ খাচ্ছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শুক্রবার রক্ত পরীক্ষা করান একটি বেসরকারি ক্লিনিক থেকে। সেই রিপোর্ট রবিবার হাতে পাওয়ার কথা ছিল তাঁর পরিবারের। তার আগেই শনিবার রাতে তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করানো হচ্ছিল কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে। পথেই মারা যান।

মৃতের পরিবারের দাবি, গ্রামে এতদিন মশা মারার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। রবিবার সকাল থেকে অবশ্য মশা মারার কাজ শুরু হয়েছে। মৃতের ছেলে সারজাদ আলি বলেন, ‘‘আগে থেকে মশা মারার কাজ শুরু হলে হয় মাকে মরতে হতো না।’’

রবিবার সকালে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বনবনিয়া এলাকার বাসিন্দা সোমা দেব (৩৯) মারা যান বারসাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তিনিও জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যু শংসাপত্রে ‘মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর’-এর কথা লিখেছে। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সোমাদেবীকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। রক্ত পরীক্ষায় ‘এসএস-১ পজিটিভ’ ছিল। শনিবার রাত পর্যন্ত তাঁর প্লেটলেটের সংখ্যা ভাল ছিল। কিন্তু রবিবার সকালে হঠাৎ অবস্থার অবনতি হয়। এই নিয়ে সোমাদেবী-সহ ওই পুর এলাকায় জ্বর-ডেঙ্গিতে মারা গেলেন চার জন।

এ দিন সকালে কাঁচরাপাড়ার দু’জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা পুনম শর্মার মৃত্যুর কারণ ডেঙ্গি হিসেবে জানিয়েছে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতাল। তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্রেও সে কথা লেখা হয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ১ নভেম্বর তড়িঘড়ি প্রসব করানো হয়। পুনম মৃত সন্তান প্রসব করেন। জ্বরে কাঁচরাপাড়ার মৃত অন্য জনের নাম নয়না হেলা (২০)। জ্বর হওয়ায় ১ নভেম্বর তাঁকেও ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরিবারের দাবি, রক্ত পরীক্ষায় তাঁর ডেঙ্গি ধরা পড়েছিল।

Dengue Fever Deaths
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy