Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Election Results 2019

সন্ত্রাসের পাঁকেই কি ফুটল পদ্ম, প্রশ্ন বাগদার বাতাসে

তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বাগদায় এ বার ফুটল পদ্ম। বাগদা বিধানসভা থেকে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর এ বার ২৪ হাজার ৪৫৭ ভোটের লিড পেয়েছেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

     সীমান্ত মৈত্র
বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৯ ১০:৩৮
Share: Save:

তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বাগদায় এ বার ফুটল পদ্ম।
বাগদা বিধানসভা থেকে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর এ বার ২৪ হাজার ৪৫৭ ভোটের লিড পেয়েছেন। ওই বিধানসভা এলাকায় বিজেপি পেয়েছে ১,০৯৭৪০ ভোট। তৃণমূল প্রার্থী মমতা ঠাকুর পেয়েছেন ৮৫,২৮৩ ভোট। সিপিএম প্রার্থী অলকেশ দাস পেয়েছেন মাত্র ৬,৯৫৭ ভোট। বাগদা ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েত এলাকাতেও লিড পেয়েছে বিজেপি।গত পঞ্চায়েত ভোটে বাগদা ব্লকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের ভালই দাপট ছিল। ৯টি পঞ্চায়েতের মধ্যে সাতটিই দখল করেছিল তৃণমূল। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের তিনটি আসন পায় শাসক দল। বিজেপি জয়ী হয়েছিল দু’টি পঞ্চায়েতে।
এ বার কেন তৃণমূলের ভরাডুবি?
বিরোধীরা মনে করছেন, এর পিছনে রয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দলের লাগামহীন সন্ত্রাস। সেই সন্ত্রাসের জেরে বহু মানুষ তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেননি। এ বার সুযোগ পেয়ে প্রতিবাদ জানালেন তাঁরা।স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, পঞ্চায়েত ভোটের দিন বাগদা ব্লক জুড়ে অবাধ সন্ত্রাস ঘটেছিল। দিনভর বাইক বাহিনী ও বহিরাগতদের তাণ্ডব চলেছিল। বুথ জ্যাম, ছাপ্পা, ব্যালট বাক্স লুট, ব্যালট পোড়ানো, বোমাবাজি, গুলি, মারধর, রক্তপাত—নানা ঘটনা ঘটেছিল। এর জেরে কয়েকটি বুথে ফের ভোটগ্রহণ হয়। বহু মানুষ সে বার ভয়ে বুথমুখো হতে পারেননি। সন্ত্রাস নিয়ে শাসক ও বিরোধী অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ তুলেছিল। এ বার কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে বাগদার মানুষ উৎসবের পরিবেশে ভোট দিয়েছেন।
বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে বহু মানুষ নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেননি। লোকসভা ভোটে তাঁরা এর বদলা নিয়েছেন।’’ তৃণমূলের তরফে অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীদের সন্ত্রাসের জেরেই তাদের বহু কর্মী জখম হয়েছিলেন। বিরোধীরা বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসেছিল। দলের বাগদার পর্যবেক্ষক শঙ্কর আঢ্য বলেন, ‘‘বামেদের ভোট বিজেপির দিকে চলে যাওয়া ও মতুয়া ভোট ধরে রাখতে না পারার কারণেই পরাজয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE