Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

দুর্ঘটনায় মৃত ছাত্রী, স্কুলে বন্ধ পুজো

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে সুস্মিতা বাড়ি থেকে সাইকেল চালিয়ে যশোর রোড ধরে স্কুলে যাচ্ছিল। সে যখন স্কুলের কাছাকাছি এসে পড়েছে, উল্টো দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি বাইক ধাক্কা মারে।

সুস্মিতা সরকার। —নিজস্ব চিত্র

সুস্মিতা সরকার। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
গাইঘাটা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:৪০
Share: Save:

সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে বাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হল একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটার কলাসিমা স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ স্কুলের সামনের যশোর রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম সুস্মিতা সরকার (১৭)। বাড়ি স্থানীয় গোপালপুরে। সে কলাসিমা স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠেরই ছাত্রী। পুলিশ বাইক ও তার চালককে আটক করেছে। সুস্মিতার স্কুল কলাসিমা স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক সুজিত এতবর বলেন, ‘‘আমাদের কারওরই মনের অবস্থা ঠিক নেই। সুস্মিতার মৃত্যুতে শোক পালনের উদ্দেশ্যে আমরা এ বছর স্কুলের সরস্বতী পুজো বন্ধ রাখছি।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে সুস্মিতা বাড়ি থেকে সাইকেল চালিয়ে যশোর রোড ধরে স্কুলে যাচ্ছিল। সে যখন স্কুলের কাছাকাছি এসে পড়েছে, উল্টো দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি বাইক ধাক্কা মারে। সুস্মিতা রাস্তায় ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাত পায়। স্কুলের শিক্ষকেরা সুস্মিতাকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। শিক্ষক আশিস ঘোষ বলেন, ‘‘হাবড়া হাসপাতালের চিকিৎসকেরা দ্রুত সুস্মিতার সিটিস্ক্যান করাতে বলেন। ওই হাসপাতালে সিটিস্ক্যানের ব্যবস্থা না থাকায় ওকে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি। সেখানেই ওর মৃত্যু হয়।’’

স্কুলের অনেক পড়ুয়াই সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যায়। তেমনই কয়েক জন জানায়, সাইকেল নিয়ে স্কুলে যেতে ভয় লাগে। গাড়িগুলি এ রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে ছুটে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্কুলের কাছে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য হাম্প বসানো হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, যানচালকেরা হাম্পকে পাত্তা না দিয়ে তার উপর দিয়েই দ্রুত গতিতে গাড়ি চালান। এ দিনও তাই হয়েছিল।

সুস্মিতারা দুই ভাই-বোন। সে বড়। বাবা শম্ভু ফুচকা বিক্রি করেন। মা অভাবের সংসারে মেয়েকে তাঁরা লেখাপড়া শেখাচ্ছিলেন। সুস্মিতার মা সারথি বলেন, ‘‘মেয়েকে নিয়ে কত স্বপ্ন ছিল। সব শেষ হয়ে গেল।’’ সুস্মিতার ঠাকুমা সতী কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘‘নাতনি এ বার বাড়িতে সরস্বতী পুজো করবে বলেছিল। তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল’’ শুক্রবার বিকেলে বাবার সঙ্গে ঠাকুর কিনতে যাওয়ার কথা ছিল তার, জানাল পরিবার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Gaighata Accident Saraswati Puja
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE