Advertisement
E-Paper

হ্যাম রেডিওর সৌজন্যে ঘর খুঁজে পেলেন মানসিক রোগী

এ দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই ওই হাসপাতালে। আবার ঠিকানা না জানলে তাঁকে হাসপাতাল থেকে বের করেও দেওয়া যায় না।

সুপ্রকাশ মণ্ডল

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৮ ০২:৩৮
বৈদ্যনাথ সাধুখাঁ

বৈদ্যনাথ সাধুখাঁ

গাড়ির ধাক্কায় জখম হয়ে পড়েছিলেন রাস্তার ধারে। কেউ না দেখে পার হয়ে যাচ্ছিলেন, কেউ দেখেও দেখছিলেন না। শেষ পর্যন্ত এলাকারই কয়েকজন যুবক তাঁকে খড়দহের বলরাম হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসায় ক্ষত সারে। কিন্তু দেখা যায়, নিজের নামটুকু ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছেন না বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তি।

এ দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই ওই হাসপাতালে। আবার ঠিকানা না জানলে তাঁকে হাসপাতাল থেকে বের করেও দেওয়া যায় না। এই অবস্থায় পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসকের উদ্যোগে এবং হ্যাম রেডিয়ো ক্লাবের সদস্যদের চেষ্টায় ঘর খুঁজে পেলেন বৈদ্যনাথ সাধুখাঁ নামের ওই ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি নৈহাটির রাজেন্দ্রপুর।

বলরাম হাসপাতালের সুপার সুব্রত দে বলেন, ‘‘মাসখানেক আগে জখম অবস্থায় তাঁকে কয়েকজন হাসপাতালে এনেছিলেন। তখনই আমরা বুঝতে পারি যে, মানসিক সমস্যা রয়েছে ওঁর।’’ তিনি জানান, বাড়ির লোকেদের লিখিত অনুমতি ছাড়া কাউকে মানসিক হাসপাতালে পাঠাতে হলে পুলিশের মাধ্যমে আদালতের অনুমতি লাগে। সেই মর্মে আমরা পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম।

ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পীযূষ গোস্বামী বিষয়টি জানার পরেই বৈদ্যনাথবাবুর ছবি পাঠিয়ে দেন পশ্চিমবঙ্গ রেডিয়ো ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাসের কাছে। তিনি সব তথ্য পাঠিয়ে দেন রেডিয়ো ক্লাবের সব সদস্যদের কাছে। দু’দিনের মধ্যে সন্ধান খোঁজ মেলে তাঁর পরিবারের। বৈদ্যনাথবাবুর ভাই বিশ্বনাথ সাধুখাঁ ছবি দেখে দাদাকে চিনতে পারেন।

বিশ্বনাথবাবু জানান, মাসখানেক আগে তাঁর দাদা মামার বাড়ি বারাসতে যাওয়ার জন্য বাসে চড়েছিলেন। সন্ধ্যায় জানতে পারেন, তিনি মামার বাড়িতে যাননি। কোথাও সন্ধান না পেয়ে তিনি নৈহাটি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

রবিবার হাসপাতালে এসে দাদার সঙ্গে দেখা করেন বিশ্বনাথবাবু। তবে এখনই ঘরে ফেরা হচ্ছে না তাঁর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিছু আইনি নিয়ম মেনে তবেই তাঁকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। পরিবারের লোকেরা চাইলে তাঁকে কোনও মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হবে।

নিখোঁজ বহু ব্যক্তিকে বাড়িতে ফিরিয়েছে হ্যাম রেডিয়ো ক্লাব। অম্বরীশবাবু জানান, মানসিক ভারসাম্যহীনদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, একবার বাড়িতে ফিরলেও ফের নিখোঁজ হয়ে যান অনেকেই। তখন যাতে তাঁদের খুঁজে পেতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য এমন কাউকে খুঁজে পেলে তাঁর হাতে ঠিকানা, ফোন নম্বরের ট্যাটু করে দেওয়া হবে। রবিবার বৈদ্যনাথবাবুর হাতে তেমন ট্যাটু করে দেওয়া হয়।

Ham radio mental Patient
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy