Advertisement
E-Paper

দুই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

কে আগে স্নান করতে যাবে, তা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। বিপাশার বোন পিউ আগে স্নান করতে চলে গিয়েছিল। ওই ছাত্রীর পরিজনেরা জানিয়েছেন, বিপাশার অভিযোগ ছিল, সব সময়ে বোনই আগে স্নান করতে যায়। তাকে কোনও দিন আগে যেতে দেওয়া হয় না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৮ ০০:২৪

দক্ষিণ শহরতলির দু’টি থানা এলাকা থেকে দুই স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। দু’টি ঘটনাই ঘটেছে মঙ্গলবার। পুলিশের অনুমান, বাড়িতে বকুনি খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে সপ্তম শ্রেণির ওই দুই ছাত্রী।

এ দিন সন্ধ্যায় নরেন্দ্রপুর থানার রামচন্দ্রপুরে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সহেলি মণ্ডল নামে বছর তেরোর এক ছাত্রীর মৃতদেহ। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, সব সময় কার্টুন দেখার জন্য সহেলিকে বকেছিলেন তার মা। এ দিন সন্ধ্যায় তিনি কিছু ক্ষণের জন্য বেরিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে শাড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। ওই ছাত্রীর আত্মীয়েরা জানিয়েছেন, দিন কয়েক পরেই ছিল সহেলির পরীক্ষা। তাই টিভি দেখতে বারণ করেছিলেন মা।

সহেলির বাবা সোমনাথ মণ্ডল বলেন, ‘‘সন্ধ্যায় ফিরে দেখি, মেয়ের ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। বহু বার ধাক্কা দিলেও খোলেনি। তখন পড়শিদের খবর দিই। পুলিশেও জানাই।’’ পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে। মা ছায়াদেবীর কথায়, ‘‘সামনেই পরীক্ষা থাকায় টিভি দেখতে মেয়েকে বারণ করেছিলাম। মঙ্গলবার সকালে খাবার দেওয়ার সময়ে বলেছিলাম, খেয়ে স্কুলে চলে যেতে। টিভির দিকে তাকিয়েই আমার কথার হ্যাঁ-না জবাব দিচ্ছিল। তার পরে খুব জোরে বকুনি দিই। ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারিনি, মেয়ে এমন কাণ্ড ঘটাবে।’’

এ দিনই বারুইপুর থানার সুভাষগ্রামের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী বিপাশা সর্দারের দেহ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিপাশারা দুই বোন। এ দিন দুপুরে কে আগে স্নান করতে যাবে, তা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। বিপাশার বোন পিউ আগে স্নান করতে চলে গিয়েছিল। ওই ছাত্রীর পরিজনেরা জানিয়েছেন, বিপাশার অভিযোগ ছিল, সব সময়ে বোনই আগে স্নান করতে যায়। তাকে কোনও দিন আগে যেতে দেওয়া হয় না।

ওই ছাত্রীর বাবা পেশায় রিকশাচালক, মা পরিচারিকার কাজ করেন। এ দিন মা-বাবা দু’জনেই বিপাশাকে বলেন, ‘‘বোন ছোট। আগে স্নান করলে করুক।’’ পুলিশের ধারণা, এতেই অভিমানে দরজা বন্ধ করে দেয় বিপাশা। দুপুরে খায়নি। বিকেলে তার মা-বাবা বাড়ি ছিলেন না। বোন পিউ ছিল পাশের বাড়িতে। রাতে মা-বাবা ফিরে দেখেন, মেয়ের ঘরের দরজা বন্ধ। ডেকেও সাড়া না পাওয়ায় তাঁরা পুলিশে ফোন করেন। পুলিশ দরজা ভেঙে ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে।

Suicide Girlstudent Baruipur Narendrapur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy