হাবরা শহরে এই যানজট নিত্য দিনের।— নিজস্ব চিত্র।
হাবরা শহরে যশোর রোডের যানজট সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। শহরের মধ্যে ওই সড়কের জমি দখল করে করেছেন কয়েকশো দোকানদার। হকার্স মার্কেট তৈরি করে ওই সব দোকানদারদের পুনবার্সন দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হকারর্স মার্কেট তৈরির প্রস্তাব রাখেন হাবরার পুরপ্রধান নীলিমেশ দাস। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে দ্রুত সমীক্ষার কাজ শুরু করে জেলাশাসকের কাছে জমা দিতে বলেছেন।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘শহরে যশোর রোডের জমিতে রয়েছেন শ’তিনেক হকার। তাঁদের মার্কেট তৈরি করে পুনর্বাসন দিতে পারলে শহরের যানজট সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি যশোর রোড সম্প্রসারণের যে কাজ হতে চলেছে, তা-ও ত্বরান্বিত হতে পারে।’’ তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দ্রুত সমীক্ষা তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে, যা জেলাশাসকের কাছে জমা দেওয়া হবে।
পুরসভা ও প্রশাসন সূত্রের খবর, শহরে যশোর রোডের জমিতে রয়েছেন প্রায় তিনশো দোকানদার। তাঁদের মার্কেট তৈরি করে পুনর্বাসন দিতে পারলে শহরের যানজট সমস্যা অনেকটাই মিটবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মিউনিসিপ্যাল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট স্থানীয় পুরসভাকে নিয়ে দ্রুত সার্ভের কাজ শুরু করবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, হাবরা শহরের যানজট সমস্যা মেটাতে শহরে দু’টি উড়ালপুল তৈরি হওয়ার কথা। একটি হবে ১ নম্বর রেলগেট ও অন্যটি ২ নম্বর রেলগেট এলাকায়। ইতিমধ্যেই ওই কাজের জন্য মাটি পরীক্ষা ও সমীক্ষার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। জমি চিহ্নিতকরণের কাজও শেষ। হাবরার বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন বলেন, ‘‘যশোর রোডে প্রস্তাবিত পাঁচটি উড়ালপুল তৈরির কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, স্থানীয় জয়গাছি সুপার মার্কেট এলাকায় হকারর্স মার্কেট তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা। কয়েক বছর আগে অবশ্য একই ভাবে ১ নম্বর রেলগেট এলাকায় একটি মার্কেট করে প্রায় ১৩০ জন দোকানদারকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছিল। ওই দোকানদারেরা আগে যশোর রোডের জমিতে ব্যবসা করেছিলেন। এই ব্যবস্থায় সাময়িক হলেও যানজট কিছুটা কমেছিল। দ্বিতীয় হকার্স মার্কেট তৈরি হলে যানজট সমস্যা আরও কম হবে বলেই পুর কর্তৃপক্ষের আশা।
হাবরা শহরের যানজট সমস্যা দীর্ঘ দিনের। ১ নম্বর রেলগেট থেকে জয়গাছি পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার পথ পেরোতে দিনের কোনও কোনও সময় আধ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়। ফুটপাত বলে কিছু নেই। ফুটপাত দখল করে অস্থায়ী দোকানপাট গজিয়ে উঠেছে। পুরসভার পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে অভিযান চালানো হয় বটে, তবে সমস্যা পাকাপাকি মেটে না।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে যানজট সমস্যা কমার আশা করতে শুরু করেছেন শহরবাসী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy