প্রতীকী ছবি।
খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামী।
বিকাশ মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তির বাড়িতে কাজ করতেন এক যুবতী। ৭ জানুয়ারি হেমনগর থানার যোগেশগঞ্জে ওই বাড়ির পিছনের মাঠ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর অর্ধনগ্ন দেহ। তদন্তকারীদের অনুমান, ১ জানুয়ারি মৃত্যু হয়েছিল মহিলার। দেহ উদ্ধারের পরে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তাঁর পরিবার। অভিযোগে কারও নাম না থাকলেও প্রথম থেকেই তাঁরা অনুমান করছিলেন, মণ্ডল পরিবারের কেউ এই ঘটনায় জড়িত।
তদন্তে নেমে পুলিশ হেমনগরের বাসিন্দা নবকুমার মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে কিছু দিন আগে গ্রেফতার করা হয় যোগেশগঞ্জের বাসিন্দা সুনীল মণ্ডলকে।
তাঁকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। উঠে আসে যোগেশগঞ্জ পঞ্চায়েতের সদস্য রূপা মণ্ডলের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিকাশের নাম। সেই মতো বুধবার রাতে যোগেশগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে হেমনগর থানার পুলিশ।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিকাশের বাড়ির কাছে একটি পুকুর থেকে মহিলার পোশাক উদ্ধার করেছে। তদন্তকারীদের দাবি, এখনও পর্যন্ত যা তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তাতে মহিলাকে খুনের ঘটনায় মূল চক্রী বিকাশ। কিন্তু ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা, তা স্পষ্ট নয়। খুনের কারণও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নিহত যুবতীর দাদা বলেন, ‘‘বোনের শোকে বাবাও কয়েক দিন আগে মারা গিয়েছেন। বিকাশ ধরা পড়ায় আমরা খুশি। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা, তা তদন্ত করুক পুলিশ।’’ নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে তাঁরা ভয়ে আছেন বলে জানিয়েছে পরিবারটি।
ভোটের মুখে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী গ্রেফতার হওয়ায় রাজনৈতিক আক্রমণও শুরু করেছে বিরোধীরা। স্থানীয় সিপিএম নেতা রবি বিশ্বাস বলেন, ‘‘তৃণমূল দলটার রূপ সামনে চলে এল। এটাই তৃণমূল।’’
দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে হেমনগর থানায় এসেছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। দলের নেতা তুলসী দাস বলেন, ‘‘পুলিশ এখন শাসকদলের নিয়ন্ত্রণে নেই, নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। তাই পুলিশ এত দিন পরে প্রকৃত দোষীকে গ্রেফতার করছে।’’
এ বিষয়ে বিকাশ মণ্ডলের পরিবারের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ফোন বন্ধ ছিল। হিঙ্গলগঞ্জ বিদায়ী বিধায়ক তথা এ বারের তৃণমূল প্রার্থী দেবেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে। আমরাও চাই মৃতার পরিবার ন্যায়বিচার পাক। বিরোধীরা অযথা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy