Advertisement
E-Paper

বেআইনি গাড়ি চলছেই, ধর্মঘটে নামল মিনিবাস সংগঠন

প্রশাসন তো আশ্বাস দিয়েছিল‌ই, আশ্বস্ত করেছিলেন খোদ মন্ত্রীও। কিন্তু কিছুতেই কাজের কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। বেআইনি গাড়ির দাপটে ক্রমশ লোকসান বাড়ছে বলে দাবি করেছেন শ্রীরামপুর-ডোমজুড় রুটের মিনিবাস মালিকেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৩৫

প্রশাসন তো আশ্বাস দিয়েছিল‌ই, আশ্বস্ত করেছিলেন খোদ মন্ত্রীও। কিন্তু কিছুতেই কাজের কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। বেআইনি গাড়ির দাপটে ক্রমশ লোকসান বাড়ছে বলে দাবি করেছেন শ্রীরামপুর-ডোমজুড় রুটের মিনিবাস মালিকেরা। এর প্রতিবাদে সোমবার থেকে ওই রুটে অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বাসমালিক এবং কর্মীরা।

বাস মালিকেরা চাইছেন, তাঁদের অবস্থার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে উঠুক। আজ, বুধবার ‘সিঙ্গুর দিবস’ পালন করতে হুগলিতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই রুটের এক বাস মালিকের কথায়, ‘‘একটা সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাস চালানো সম্ভব নয়।’’

শ্রীরামপুর আদালতের সামনে থেকে ছেড়ে বড়া, বেগমপুর, চণ্ডীতলা জগদীশপুর হয়ে ডোমজুড়ে যায় ওই রুটের মিনিবাসগুলি। ওই রুটের বাসমালিক সংগঠন সূত্রের খবর, ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তায় ২৬টি বাস রয়েছে। বর্তমানে ২২টি বাস চলে। ২০ মিনিট অন্তর বাস ছাড়ে। অভিযোগ, গোটা রাস্তায় প্রচুর ট্রেকার চলে। নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে ট্রেকারে বাদুড়ঝোলা করে যাত্রী তোলা হয়। ফলে বাসের যাত্রী কমেছে। এ ছাড়াও গত কয়েক মাস ধরে রুট জুড়ে টোটো বেড়েছে। রয়েছে বেআইনি অটোর দাপটও। সব মিলিয়ে বছর দেড়েক ধরে বাসের রোজগার তলানিতে এসে ঠেকেছে বলে দাবি ওই সংগঠনের।

বাস মালিকদের দাবি, সমস্যার কথা জানিয়ে বেআইনি গাড়ি ও ট্রেকারের ছাদ ও পাদানিতে যাত্রী তোলা বন্ধ করতে বছর দেড়েক ধরে একের পর এক চিঠি দেওয়া হয়েছে পুলিশ-প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে। প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস মিলেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কিছু দিন আগে জেলা প্রশাসনের তরফে বেআইনি গাড়ি চলাচল বন্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। জেলার বাসমালিকদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও একই কথা জানান। কিন্তু দু’-এক দিন ধরপাকড় চললেও পরিস্থিতি যে কে সেই হয়ে গিয়েছে বলে বাসকর্মীদের অভিযোগ।

ওই রুটের বাসমালিক সংগঠনের সম্পাদক অলোক পাল বলেন, ‘‘সরকারকে অনেক টাকা ট্যাক্স দিয়ে আমরা গাড়ি চালাই। কিন্তু বেআইনি গাড়ির দাপটে লাভ দূরঅস্ত। লোকসান হচ্ছে। বাস চালানোই এখন দুষ্কর।’’ তাঁর কথায়, ‘‘উপার্জন কমে যাওয়ায় বাসকর্মীরাই বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’ সূত্রের খবর, জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা মঙ্গলবার ওই রুটের বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ধর্মঘট তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। জেলা পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, বেআইনি গাড়ির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলে। সেই অভিযান আরও জোরদার অভিযান চালানো হবে।

minibus association strike
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy