চারিদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ চলছে। তারই মধ্যে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ অশোকনগর থানার সামনে একটি ঝোপে কাগজ কুড়োতে এসেছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের এক যুবক। ভ্যাটের মধ্যে থেকে প্লাস্টিক তুলবেন বলে লাঠি দিয়ে নোংরা সরাচ্ছিলেন। সে সময় হঠাৎ জোরে শব্দ হয়। এ দিক ও দিক থেকে লোকজন দৌড়ে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে মাটিতে পড়ে রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, জখম যুবকের নাম বিশ্বনাথ দাস। বাড়ি আনন্দমঠপল্লি এলাকায়। অশোকনগর স্টেট জেনালের হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর বাঁ চোখের উপর ও হাতে চোট লেগেছে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, চারিদিকে এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল চলছে। পুলিশের কড়াকড়ি আছে। তার মধ্যেই এলাকায় বোমা ফাটল। ভ্যাটের মধ্যে বোমা এল কী ভাবে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বাসিন্দাদের দাবি, বিভিন্ন এলাকা থেকে বোমা ও শব্দবাজি উদ্ধার করে পুলিশ ওই জায়গাতেই নিস্ক্রিয় করে। কোনও ভাবে হয় তো বোমাটি সেখানে থেকে গিয়েছিল। অশোকনগর-কল্যাণগড়ের পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, পুলিশ বোধ হয় একটি বোমা নিষ্ক্রিয় করতে ভুলে গিয়েছিল।’’ এলাকাবাসী জানান, ওই ভ্যাটে এ দিন আরও তিনটি বোমা ছিল। একটি ফাটার পরে পুলিশ ওই তিনটি নষ্ট করে দিয়েছে। পুলিশ অবশ্য এই কথা অস্বীকার করেছে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরুণ হালদার বলেন, ‘‘বোমাটি ভ্যাটের মধ্যে কী ভাবে এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ অশোকনগরের সিপিএম প্রার্থী সত্যসেবী কর বলেন, ‘‘থানার নাকের ডগায় এমন ঘটনা ঘটল। খুবই চিন্তার বিষয়।’’
খুনের ঘটনায় ধৃত ১। ছিনতাইয়ের টাকা লুঠ করে নেওয়ার অভিযোগেই খুন হতে হল ছিনতাই দলের পান্ডা রিয়াজ আলিকে (২০)। সোমবার বিকালে কাঁকিনাড়ার নয়াবাজারে একটি চায়ের দোকানে গুলিবিদ্ধ হয় রিয়াজ। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণের সূত্র ধরে এবং রিয়াজের কিছু পুরনো সঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মহম্মদ দানিশ ওরফে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা দু’জনেই নাবালক বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান অজয় ঠাকুর বলেন, ‘‘আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি আরও কেউ এই খুনের ঘটনার পিছনে আছে কি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy