নিরাপদ আশ্রয়ের পথে। —নিজস্ব চিত্র
টানা বৃষ্টিতে ফিরল ইয়াস পর্বের আতঙ্ক। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে সাগর, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, গোসাবার বিভিন্ন দ্বীপের একাধিক এলাকা। লাগাতার বর্ষণে নতুন করে আশঙ্কায় ওই সব এলাকার বসিন্দারা।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত চলছে। তার জেরে জলমগ্ন ভাঙন কবলিত ঘোড়ামারা, মৌসুনি এবং গোসাবা ব্লকের দ্বীপ এলাকাগুলির বিভিন্ন অংশ। বৃষ্টি চললে মাটির বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাঁধের উপর বিশেষ নজর রাখছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গোসাবা, বাসন্তী-সহ জেলার মোট ন’টি ব্লকে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। উপকূল এবং সুন্দরবনের এলাকা ছাড়াও সোবারপুর, বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার, বজবজ, মহেশতলার মত পুর এলাকাগুলির একাধিক ওয়ার্ড জলমগ্ন। প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে পানের বরজ এবং ধান চাষে।
ইতিমধ্যেই জেলার জলমগ্ন এবং নদী তীরবর্তী যে সব এলাকায় মাটির বাড়ি রয়েছে সেখান থেকে ন’হাজারেরও বেশি মানুষকে ৭৬টি ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িতে শুকনো খাবার এবং ত্রিপলও পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্গত এলাকার জন্য মোতায়েন রাখা হয়েছে, সিভিল ডিফেন্সের প্রায় ৫০০ সদস্যকে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন নদীতে ২০টি বোট নামানো হয়েছে। প্রয়োজনে এগুলি বাসিন্দাদের উদ্ধার কাজে ব্যবহার করা হবে। গোসাবা বাসন্তী এবং কুলতলি ব্লকে পৌঁছে গিয়েছে মেডিক্যাল টিম। জেলাশাসক পি উলগানাথ জানিয়েছেন, ‘‘পরিস্থিতির উপর নজর রয়েছে। প্রশাসনের তরফে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাঁধের উপরেও নজরদারি চালানো হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy