জখম বিজেপি কর্মী। নিজস্ব চিত্র
দেওয়াল লেখাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধল তৃণমূল এবং বিজেপির কর্মীদের মধ্যে। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালির দুর্গামণ্ডপের সুখদোয়ানি বাজারে। বিজেপির অভিযোগ, তাদের কর্মীরা এ দিন দাউদপুর গ্রামে দেওয়াল লিখতে গেলে বাধা দেয় তৃণমূল। শুরু হয় মারামারি। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে তাদের দলের কোনও যোগ নেই। মারামারির ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনন্ত মিস্ত্রির আঘাত গুরুতর। তাঁকে-সহ চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে দুর্গামণ্ডপের দাউদপুর গ্রামে একটি দেওয়াল লিখছিলেন বিজেপি সমর্থকেরা। সে সময়ে কয়েকজন এসে লিখতে নিষেধ করে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে দু’পক্ষের হাতাহাতি বাধে।
এই ঘটনার পরে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিজেপি কর্মীরা স্থানীয় সুখদোয়ানি বাজারে গেলে ফের দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। ক্রমে তা বড় আকার নেয়। দা, বল্লম, শাবল নিয়ে শুরু হয় মারপিট। বিজেপির দাবি, দলের তপসিলি জনজাতি মোর্চার জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ সর্দার, ভবসিন্ধু মণ্ডল, অনন্ত মিস্ত্রি এবং কালীপদ মিস্ত্রিকে মারধর করা হয়েছে। তাঁরা গুরুতর আহত হয়েছেন। কারও মাথা ফেটেছে, কারও চোয়াল ভেঙেছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কোনও রকমে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে তারা। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় গ্রামে পুলিশি টহল শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে সন্দেশখালির বিজেপি নেতা মনোরঞ্জন বেরা বলেন, ‘‘দেওয়াল লেখাকে কেন্দ্র করে আমাদের কর্মীদের মারধর করে তৃণমূল কর্মীরা। পুলিশকে জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। গ্রামে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা শাবল হাতে মোটর বাইক নিয়ে মিছিল করছে। আতঙ্কে আমাদের দলের নেতা ও কর্মীরা অনেকে আত্মগোপন করে রয়েছেন।’’
তবে অভিযোগ সত্য নয় বলেই দাবি তৃণমূলের বিধানসভা কমিটির আহ্বায়ক ফিরোজ কামাল গাজির। তিনি বলেন, ‘‘নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল বাধিয়ে এখন দোষ ঢাকতে বিজেপি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy