বনগাঁয় নির্মাল্য প্রামাণিকের তোলা ছবি ।
৫০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু নোটের চোট থেকে রেহাই যে সহজে মিলবে না তার আঁচ মিলল বছরের প্রথম দিন ডায়মন্ড হারবারের পিকনিক স্পটগুলিতে ঘুরে। গঙ্গা, রায়চক নদীর ধার, ডায়মন্ড হারবার পুরানো কেল্লার মতো পরিচিত পিকনিক স্পটগুলিতে গত বারের মতো ভিড় ছিল না।
কলকাতা থেকে দূরত্ব কম হওয়ায় শীতের মরসুমে দল বেঁধে বাস, ম্যাটাডর ভাড়া করে অথবা নিজেদের গাড়ি নিয়ে ডায়মন্ড হারবার এবং এই শহর লাগোয়া ফলতায় চলে আসেন বহু মানুষ। পিকনিক স্পটগুলিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে কয়েকটি হোটেল। ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে সেখানে ভাল ভিড় থাকে। কিন্তু এ বার সেই ছবি দেখা যায়নি। ফলতার একটি হোটেলের ম্যানেজার সন্তু দাসের আক্ষেপ, ‘‘নোট বাতিলের ৫০ দিন পরেও এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। নগদ সমস্যায় হোটেলের বুকিং বাতিল হচ্ছে।’’ বছরের প্রথম দিনে কলকাতা থেকে ফলতায় পিকনিক করতে এসেছিলেন শ্যামল কর্মকার, সুজিত ত্রিবেদীরা। তাঁরা বলেন, ‘‘নগদ সমস্যার কারণে দলের প্রায় ১৫ জন এ দিন আসতে পারেননি।’’ ফল এবং মাংসের দোকানগুলিতেও ভিড় ছিল কম।এ দিন কমবেশি একই ছবি দেখা গিয়েছে বনগাঁ, হাবরা, বাগদা, গাইঘাটায়। সব জায়গাতেই ভিড় ছিল অন্যান্য বছরের থেকে কম।
তেমন ভিড় নেই পিকনিক স্পটগুলিতে। ডায়মন্ড হারবারে ছবিটি তুলেছেন দিলীপ নস্কর।
হাবরা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বনবিথীতে শীত পড়লে জায়গা পাওয়া দুষ্কর হয়। কিন্তু এ বার ছবিটা অনেক আলাদা। হাবরা পুরসভার পুরপ্রধান নীলিমেশ দাস বলেন, ‘‘এ বছর বনবিথীতে ভিড় তেমন হচ্ছে না। নোট বাতিলের জেরে মানুষ কম আসছে।’’ এ বার বছরের প্রথম দিনে ইছামতী নদীতে নৌকাও কম দেখা গিয়েছে। ইছামতীর মাঝি দিলীপ হালদার বলেন, ‘‘২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর নৌকা চালিয়ে প্রায় ২৭০০ টাকা আয় করেছিলাম। কিন্তু এ বার ২৫ ডিসেম্বর আয় হয়েছে মাত্র ১৫০ টাকার মতো। পয়লা জানুয়ারিতেও পরিস্থিতির খুব বেশি বদলায়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy