মমতা ঠাকুরের নেতৃত্বে পথে নামলেন মতুয়ারা। — ফাইল চিত্র।
গাইঘাটার ঠাকুরনগরে মতুয়াদের পীঠস্থান ঠাকুরবাড়িতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর ঘিরে ধুন্ধুমার বেধেছিল রবিবার। ওই দিন তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের দেহরক্ষী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা জুতো পায়ে হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে উঠেছিলেন। ফলে মন্দির অপবিত্র হয়েছে।
এ বার ওই একই অভিযোগ তুলে বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতা ঠাকুরের নেতৃত্বে মতুয়াদের একাংশ পথে নামলেন। বুধবার সন্ধ্যায় ঠাকুরবাড়িতে মমতা ঠাকুরের শ্বশুর প্রমথরঞ্জন ঠাকুর এবং স্বামী কপিলকৃষ্ণের জন্মোৎসব পালন করা হয়। পরে ঠাকুরবাড়ি এলাকায় কালো ব্যাজ পরে ধিক্কার মিছিল বেরোয়। মমতা বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা রবিবার জুতো পায়ে মন্দিরে উঠে ভক্তদের শারীরিক নিগ্রহ করেছিলেন। প্রতিবাদে আমরা ধিক্কার মিছিল করলাম।"
এ বিষয়ে গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের মহা সঙ্ঘাধিপতি সুব্রত ঠাকুরের কটাক্ষ, ‘‘গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ কর্মসূচি নিতে পারেন। উনি হাঁটবেন, না নাচবেন-গাইবেন সেটা ওঁর বিষয়।’’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরকে ঘিরে উত্তেজনার আঁচ পড়েছিল চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালেও। সেখানে দু’পক্ষের দফায় দফায় মারপিট হয়। জখম হন বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি তৃণমূলের গোপা রায়-সহ দু'পক্ষের অনেকে। সেই গোলমালে জড়িত অভিযোগে পুলিশ আরও ২ জনকে গ্রেফতার করল মঙ্গলবার রাতে। ধৃতদের নাম রঞ্জিত হাওলাদার এবং পঙ্কজ ঢালি। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, পুলিশের কাছ থেকে অভিযুক্তদের ছিনিয়ে নেওয়া ও মহিলা পুলিশকর্মীকে নিগ্রহের অভিযোগে এদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেছে। গাইঘাটার বিএমওএইচ সুজন গায়েনও থানায় অভিযোগ জানান, রবিবার হাসপাতালে ঢুকে সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy