—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জলাশয় পরিষ্কার করতে গিয়ে উদ্ধার হয় বস্তাবন্দি দেহ। গত ২২ অক্টোবরের ওই ঘটনায় তদন্ত শেষ করল পুলিশ। জানা গেছে, জমি নিয়ে স্ত্রী এবং পুত্রের সঙ্গে অশান্তির কারণে তাঁদের হাতে খুন হতে হয়েছে প্রৌঢ়কে। খুনের পর সোনারপুরের খেয়াদহ-২ পঞ্চায়েতের হরপুরে একটি জলাশয়ে বস্তাবন্দি দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত মা-ছেলের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও তাঁদের পাওয়া যায়নি।
গত ২২ অক্টোবর জলাশয় পরিষ্কার করতে গিয়ে একটি বস্তাবন্দি দেহ পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এ নিয়ে জোর চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। শুরু হয় তদন্ত। অবশেষে মৃতের পরিচয় এবং সম্ভাব্য খুনিদের চিহ্নিত করতে পারল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম রহমান গায়েন। তাঁর বাড়ি ভাঙড় থানার মাধবপুর এলাকায়। ছেলে এবং স্ত্রী তাঁকে খুন করেন।
তদন্তে উঠে এসেছে, রহমানের অল্প কিছু জমিজমা ছিল। তিনি সেই জায়গা স্ত্রী ও সন্তানকে না দিয়ে বিক্রি করার উদ্যোগ নেন। এ নিয়ে শুরু হয় পারিবারিক বিবাদ। অভিযোগ, এক দিন রাতে স্ত্রী এবং পুত্র মিলে বালিশ চাপা দিয়ে রহমানকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। রাতেই রহমানের দেহ বস্তাবন্দি করে ভাঙড় থেকে বাইকে করে নিয়ে এসে ওই জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়। বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানান, অভিযুক্তেরা পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy